(১) ফ্রেশনেস ফেস মিস্ট
উপকরণ,দরদাম ও প্রাপ্তিস্থান:
স্প্রে বোতল (গাউসিয়ার কসমেটিক্স শপ গুলোতে পাবেন, ১০০মিলি স্প্রে বোতলের দাম পড়বে ২০-২৫ টাকা। আর মোস্তফা মার্টে পাবেন আরো ছোট সাইজের ২৫-৩০ মিলি ঐ বোতলের দাম পড়বে ৭৫-৮০ টাকা)
গোলাপের পাঁপড়ি (আপনার ধারে কাছে যে কোন ফুলের দোকানে বা চলে যেতে পারেন শাহবাগে, মধ্যম আকৃতির একটি ফুল ১৫-২০ টাকা অথবা নিজেই টবে লাগাতে পারেন গোলাপের চারা)
পুদিনা পাতা (এক্ষেত্রেও বাজার থেকে কিনে আনতে পারেন বা নিজের বাগান থেকেও নিতে পারেন)
টি ট্রি অয়েল বা যে কোন এসেনশিয়াল অয়েল (বড় কসমেটিক্সের দোকানে বা অনলাইনে পাবেন); এ উপাদানটি অপশনাল, না হলেও চলবে
আপনার পছন্দের টোনার
বিশুদ্ধ পানি
পদ্ধতি:
প্রথমেই স্প্রে বোতলটিকে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
এবার গোলাপের পাঁপড়ি ও পুদিনা পাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
তারপর পাত্রে পানি গরম হতে দিন, ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন।
এরপর ফুটন্ত পানিতে (৮০মি.লি.এর মতো ) গোলাপের পাঁপড়িগুলো (২ টা মধ্যম আকৃতির গোলাপ) ও পুদিনা পাতা (১০-১৫ টা) ছেড়ে দিন এবং পাত্রটিকে ঢেকে দিন। পাত্রটি কাঁচের হলে ভালো হয়।
পানি সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে গেলে অন্য একটি পাত্রে শুধু পানি আলাদা করে নিন।
এবার এটাতে ৩-৪ ফোঁটা টি ট্রি ওয়েল (যদি ব্রণ থাকে বা সেন্সেটিভ ত্বক হয়) বা অন্য যে কোন সুগন্ধী এসেনশিয়াল অয়েল দিন; না দিলেও হবে। তবে দিলে মিস্টের লাইফটাইম বাড়বে।
সবশেষে আপনার টোনারের বোতল থেকে ২০ মিলি টোনার মেশান এবং মিশ্রণটি নেড়ে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করুন। যদি আপনার কাছে টোনারও না থাকে তবে ১০০ মি.লি. ফুটন্ত পানি নিলেও হবে।
হয়ে গেল ঘরে তৈরি চমৎকার ফেস মিস্ট, এটি আপনাকে ঠিক সেই ভাবে ফ্রেশনেস দেবে যেমনটা পেয়ে থাকেন দোকানের কেনা মিস্টে।
রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করলে ৭ দিন ব্যবহার করা যাবে আর এসেনশিয়াল ব্যবহার করলে রুমের তাপমাত্রাতেও ৭ দিন বা তার বেশি সময়ও ভালো থাকতে পারে। সারাদিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের পর ধুয়ে ফেলার দরকার নেই, চাইলে টিস্যু পেপারে মুছে নিতে পারেন।
আগামীতে ভিট সি ফেস মিস্ট ও ভিট ই ফেস মিস্ট কীভাবে তৈরি করতে হয় তা জানানোর চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন সবাই।