উপকরণ –
– ১ কাপ ফ্রেশ গোলাপের পাপড়ি (২ টি গোলাপ, কোনভাবেই ফুলের দোকানের কেমিক্যাল দেয়া ফুল নেবেন না। এমন ফুল নিন যাতে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে এতে কোন কীটনাশক বা অন্য কেমিক্যাল ইউজ করা হয়নি।
– ২ কাপ ডিসটিলড পানি (distilled water) । কলের পানি ব্যবহার করলে গোলাপজল বেশিদিন ভালো থাকবে না।
[picture]
যা করবেন-
– প্রথমে ফ্রেশ গোলাপের পাপড়িগুলো নিন। গোলাপ যত ফ্রশ হবে গোলাপ জলের কোয়ালিটি তত ভালো হবে। আলাদা আলাদা জাতের গোলাপ ব্যবহার করবেন না। এতে গোলাপজলের ঘ্রাণ বিগড়ে যেতে পারে।
– পরিষ্কার পাতিল অথবা সসপ্যানে গোলাপের পাপড়ি রেখে তার উপরে পানি ঢালুন।
– এবার পাত্রটির মুখ ঢেকে খুবই কম আঁচে চুলায় বসান। মনে রাখবেন কোনভাবেই যেন পানি ফোটা শুরু না করে অথবা গোলাপ সিদ্ধ না হয়ে যায়! যদি গোলাপ পাপড়ি তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে পানির রঙ নীল হয়ে যায় তবে ধরে নেবেন আপনার গোলাপজল তৈরি করা হয়নি।
– হালকা গরম পানিতে ১০-১৫ মিনিট গোলাপ পাপড়ি রাখুন। তারপর পাত্রটি চুলা থেকে তুলে নিন। শেষে এসে আপনার পানি হালকা গোলাপি/লাল হতে পারে।
– পানি থেকে পাপড়ি ছাঁকনি দিয়ে আলাদা করে নিন। এবার পানি পুরোপুরি ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হবার পর পানি আপনার পছন্দের পাত্রে ভরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। দেরি করবেন না।
– এভাবে তৈরি গোলাপজল ১ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
পদ্ধতি ২- শুকনো পাপড়ি দিয়ে গোলাপজল তৈরি
উপকরণ-
– বড় সাইজের গ্লাস জার
– ১/৪ কাপ (এক কাপের চার ভাগের ১ ভাগ) শুকনো গোলাপ পাপড়ি।
– ১.৫ কাপ (দেড় কাপ) গরম করে নেয়া distilled পানি।
যা করবেন-
– গ্লাস জারের মধ্যে শুকনো পাপড়ি নিন। এক্ষেত্রেও মনে রাখবেন কোন কেমিক্যাল পাপড়িতে আছে এমন সন্দেহ থাকলে সেই গোলাপ ব্যবহার করবেন না।
– ফুটিয়ে নেয়া গরম distilled পানি আস্তে আস্তে জারের ভেতরে পাপড়ির উপর ঢালুন।
– পাত্রের মুখ ঢেকে দিন এবং ১০-১৫ মিনিট পাত্রের পানি ঠাণ্ডা হতে দিন।
– পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে অন্য একটি পাত্রে ছাঁকনির সাহায্যে গোলাপজল আলাদা করে ঢেলে নিন।
– সাথে সাথে ঠাণ্ডা করে নেয়া গোলাপজল ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। এটাও ১ সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারবেন।
দেখলেন? কত সহজ গোলাপজল বানানো? এবার আসুন আরেকবার জেনে নিই, কীভাবে আর কেন গোলাপজল রূপচর্চায় ব্যবহার করা এত উপকারী-
– গোলাপজল অ্যান্টি সেপটিক, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হবার কারণে আপনার ত্বকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য প্রাকৃতিক উপাদান।
– নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তেল নিঃসরণ কন্ট্রোল করে, ত্বকের ড্যামেজ সারিয়ে তোলে। ট্যান দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।