চতুর্থ দফার ভোটের আগেই কলকাতা পুলিশে রদবদল করল নির্বাচন কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হল রিজেন্ট পার্ক এবং বাঁশদ্রোণী থানার ওসিকে। সেইসঙ্গে তিন জেলায় নির্বাচনী আধিকারিকও বদল করেছে কমিশন।
নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, মৃণালকান্তি মুখোপাধ্যায়ের পরিবর্তে রাম থাপাকে রিজেন্ট পার্ক থানার ওসি করা হয়েছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চে পাঠানো হয়েছে মৃণালকান্তি মুখোপাধ্যায়কে। একইভাবে প্রতাপ বিশ্বাসকে সরিয়ে মলয় বসুকে বাঁশদ্রোণী থানার ওসি করা হয়েছে। প্রতাপ বিশ্বাসকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে পাঠিয়েছে কমিশন।যে দুই থানার ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আগামী শনিবার (১০ এপ্রিল) ভোটগ্রহণ হবে। হেভিওয়েট টালিগঞ্জ কেন্দ্রের ত্রিমুখী লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে চলেছেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা তৃৃৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় এবং সিপিআইএম নেতা দেবদূত ঘোষ। সেই হাইপ্রোফাইল লড়াইয়ের ৩৬ ঘণ্টা আগে ‘জনস্বার্থে’ ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার পথে হেঁটেছে কমিশন। সূত্রের খবর, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রদবদল করা হয়েছে।তাছাড়া বুধবার বদল করা হয়েছে তিন জেলার নির্বাচনী আধিকারিকও। দক্ষিণ দিনাজপুরে নিখিল নির্মলের পরিবর্তে জেলাশাসক বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক করা হয়েছে সি মুরুগানকে। যিনি ২০০৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার। পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসক বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এনাউর রহমানকে। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব পাচ্ছেন শিল্পা গৌরীসারিয়া। আর পশ্চিম বর্ধমানে পূর্ণেন্দুকুমার মাজির জায়গায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হচ্ছেন অনুরাগ শ্রীবাস্তব।