চলতি মাসেই তিনদিনের আমেরিকা সফরে রওনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে কথা বলতে চলেছেন তিনি। বক্তৃতা দেবেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি অনুষ্ঠানে তথা কোয়াড বৈঠকে এই সফরে একাধিক বিষয়ে কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদ সমস্যা থেকে শুরু করে ইন্দো প্রশান্ত সাগরীয় জলবায়ু পরিবর্তন। সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে চলেছে।
চলতি মাসেই তিনদিনের আমেরিকা সফরে মোদী, বাইডেনের সঙ্গে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা
Read more-ফের ধস নামল কালিম্পংয়ে, আপাতত বন্ধ শিলিগুড়ি-সিকিম সড়ক যোগাযোগ
কোথায় বাইডেনের সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা করবেন নমো তা নির্ধারণ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরাই। সূত্র মারফত্ জানা যাচ্ছে, মোদীর সফরের আগেই সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ আমেরিকা যেতে চলেছে বিশেষ দল। ২৩ তারিখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করবেন মোদী । এরপরই কোয়াডের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। দেশে ফেরার আগে বক্তব্য পেশ করবেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক সভায়। ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরের পর এটিই মোদীর প্রথম বিদেশ সফর।
Read More-আজ থেকে আবারও বাড়তে চলেছে মেট্রোর সংখ্যা, একজরে দেখুন নতুন সময়সূচি
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি আফগানিস্তান সমস্যা নিয়েও কথা হবে। তালিবান শাসিত আফগানিস্তান ইস্যুই এই বৈঠকের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে। ট্রাম্প জমানা শেষে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই মোদীর সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাত্। কোয়াডের অন্তর্গত জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও সামনাসামনি এই প্রথমবার বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে শুধু আফগানিস্তান নয়, ভারত আমেরিকা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জোরদার করা, তালিবান নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তান এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক প্রভাব মোদী-বাইডেন আলোচনায় স্থান পেতে পারে। পাশাপাশি আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাস দমন, জলবায়ু পরিবর্তন মতো বিষয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে থাকবে বলে মনে করা হয়।
ট্রাম্পের একেবারে বিপরীত মেরুর মানুষ জো বাইডেন। ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল আমেরিকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিজের বন্ধু বলেই বর্ণনা করতেন প্রাক্তন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি। আমেরিকার শেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক কিরকম থাকে তা নিয়ে আগ্রহ ছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার আমেরিকা গিয়ে তাঁর সঙ্গে মোদীর সামনাসামনি বৈঠক নিয়ে তাই আগ্রহ তুঙ্গে রয়েছে।