মা, ঠাকুমারা আমাদের ছোট থেকেই বলে চুলে সবসময় তেল লাগাতে যাতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয়। ফলে চুল ঝরাও কমে যায়। কারণ রুক্ষ, শুষ্ক চুলের সমস্যার সমাধান হতে পারে একমাত্র তেল মালিশেই।
শুকনো না ভিজে, কোন চুলে তেল মালিশ করা উপযুক্ত?
চুল শুকনো হোক বা ভিজে তেল সবসময়ই লাগানো যায়। তবে কোন ধরনের তেল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন নারকেল তেল। এটি একটু চটচটে মোটা হয়। শুকনো চুলে এই তেল লাগালেই ভাল। কারণ, চুলের পুষ্টিগুণ শুকনো চুলই ভাল শোষণ করতে পারে। তবে পরিষ্কার চুলেই সর্বদা তেল মালিশ করা উচিত, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে ঠান্ডার চেয়ে উষ্ণ তেল মাথায় মাখলে উপকার বেশি। তেল মালিশের পর তোয়ালে গরম জলে ভিজিয়ে, তা নিংড়ে মাথায় দিলে উপকার আরও বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু তেল কতটা মাখবেন?
কেউ কেউ মনে করেন চপচপে করে তেল মাখলেই বুঝি চুল ভাল বাড়বে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। কতটা তেল মাখতে হবে, তা নির্ভর করে তেল, চুলের দৈর্ঘ্য ও ঘনত্বের উপর। প্রথম মাথার ত্বক থেকে চুলের মাঝ পর্যন্ত আঙুলের ডগা দিয়ে তেল লাগিয়ে নিতে হবে। তার পরে বাকি অংশে। তেল লাগিয়ে নেওয়ার পর হালকা হাতে চক্রাকারে মালিশ করতে হবে। তার পর ঘণ্টা দুয়েক রাখলেই যথেষ্ট।
তেল লাগানোর আগে চুল ভাল করে আঁচড়ে অল্প অল্প করে ভাগ করে নিতে হবে।
গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত আঙুলের সাহায্য হালকা গরম তেল মাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন প্রতিটি চুলে তেল লাগে। তবে তেল লাগিয়ে চুল শক্ত করে বাঁধা বিপজ্জনক হতে পারে। মালিশের ফলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। এই অবস্থায় টেনে চুল বাঁধলে চুল ভেঙে ও ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তেল মালিশের ঘণ্টা দুই পর ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে বেশ উপকার মিলবে।