ত্বকের যত্নে করণীয়
সারাদিন রোজা রেখে ত্বক কিছুটা প্রাণহীন হয়ে পড়ে। এ সময় যত্ন নেয়ার সময়টা তাই পাল্টাতে হয়। যেহেতু পানির অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। তাই ইফতারের পর থেকে শুরু করতে পারেন ত্বকের যত্ন।
১) পানির অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই ইফতারের পর বা নামাজের পর ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারেন। মুখে লোশন লাগিয়ে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা থাকুন। চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়বে না।
২) এ সময় সব রকমের টোনার জাতীয় প্রসাধন এড়িয়ে চলুন। মেকআপ কম ব্যবহার করুন।
৩) অনেক সময় চোখের নিচে কালো হয়ে থাকে ক্লান্তির কারণে। তাই ঘুম ঠিক সময়মতো দরকার। আলু, টমেটো ও শসার রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে কালো দাগ দূর হবে।
৪) ঘুমানোর আগে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন । আপনার ত্বকের সাথে যেসব ফেইসপ্যাক স্যুট করে সেগুলো ব্যবহার করুন।
ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটি –
৫) এ সময় গরম বেশি থাকে। রোদের তাপে মুখে কালো দাগ হতে পারে । সেসব থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর ফেইস প্যাক। লেবু, মধু আর মুলতানি মাটি একসাথে মিশিয়ে মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গোলাপ জল আর শসা দিয়ে তৈরি ফেইস প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করুন। এটি যেকোনো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
ত্বকের যত্নে বিট্রুট মিল্ক –
৬) ঠোঁটের আলাদাভাবে যত্ন নিন। কারণ এ সময় ঠোঁট ফেটে যায়। রাতে ঘুমাবার আগে ঠোঁটে বিট রুট আর দুধ একসাথে মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন । এছাড়া ঠোঁটের যত্নে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন ।
৭) গরমে বডি-লোশন ব্যবহার করতে না চাইলে নিয়মিত ত্বকের উপযোগী ভালো কোন সাবান ব্যবহার করুন।
৮) বাড়িতে এ সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকে। রাতে কলা, পাকা পেঁপে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন সাথে মধু নিন এবং মুখে লাগিয়ে ২০ মিন রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
৯) কড়া পারফিউমে ত্বকের ক্ষতি হয় অনেক সময়। তাই সেটা ব্যবহার না করাই ভালো।
১০) রমজানে হালকা মেকআপ-এর মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখুন। অথবা মেকআপ না করাই ভালো। ঘর থেকে বের হবার আগে সামান্য প্রেসড-পাউডার লাগাতে পারেন।
১১) রোজায় ঠোঁটে কোন লিপস্টিক বা প্রসাধনী না লাগানোই ভালো।
১২) পারলে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।
১৩) রোজায় আমাদের ভাজাপোড়া খাওয়া শুরু হয়ে যায়। এসবের খারাপ প্রভাব পরে ত্বকের উপর। হালকা খাবার খাওয়া এ সময়ে সব থেকে ভালো। ইফতারির একটি ভালো খাবার হলো শরবত। তাজা ফল, টক-দই বা দুধ মিশিয়ে শরবত তৈরি করা যেতে পারে। এতে ত্বক শক্তি ফিরে পাবে।