ছ’বছর আগে চণ্ডীপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মেরেছিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক কর্মসূচিতেও ছিলেন। বৃহস্পতিবার রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল দেবাশিস আচার্য নামে ওই যুবকের। বিজেপির দাবি, দেবাশিসকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল। ঘটনাটি তমলুকের।বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ দুই বন্ধুর সঙ্গে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন নেতাজিনগর এলাকায় চা খেতে যান। সেই সময় তাঁর ফোন আসে। ফোনে কথা বলতে বলতেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে দেবাশিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ফোনও সুইচড অফ বলছিল।তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে দেবাশিসের দেহ পাওয়া যায়। মাথায় ও শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন ছিল। যা দেখে বিজেপির দাবি, দেবাশিসকে খুন করা হয়েছে। তমলুক জেলা বিজেপির সভাপতি নবারুণ নায়েকের দাবি, খুন করা হয়েছে দেবাশিসকে। রাজ্য পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না। তাই আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্তের দাবি জানানো হবে। বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণে দেবাশিসকে খুন করা হয়েছে। যদিও জেলা তৃণমূলের দাবি, ঘটনার সঙ্গে শাসক দলের কোনও যোগাযোগ নেই। খুনের ঘটনা কিনা, তা তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে চণ্ডীপুরে জনসভার মঞ্চে উঠে অভিষেককে চড় মেরেছিলেন দেবাশিস। তাঁকে মঞ্চেই মারধর করেছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। হাসপাতালেও ভরতি করা হয়েছিল। সেই সময় কালীঘাটে গিয়ে ছেলের হয়ে অভিষেকের কাছে চেয়েছিলেন দেবাশিসের বাবা-মা। পরে নিজেও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন দেবাশিস। তারপর তৃণমূলের তরফে আরও আইনি পথে যাওয়া হয়নি। দেবাশিসকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন অভিষেকও।