টি.এম.সি.পি এবং এ.বি.ভি.পি’র দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ ।
উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কম পক্ষে ২০ জন ছাত্র ছাত্রী জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতা কাদের হাতে থাকবে, তাই নিয়ে মূলত এবিভিপি ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিন দুপুরে কলেজ চত্বরে ব্যপক ভাঙচুর করা হয়। একাধিক গাড়ি, ভাঙচুর করা হয়েছে। কলেজের দরজার কাচ, পাখা, কলেজের ঘরের জিনিষপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুই দলের একাধিক সমর্থক আহত হয়েছে। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে কলেজের ভিতরের পরিস্থিতি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে এবিভিপির দুই ছাত্রকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার কলেজে অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে আসে এবিভিপি ও অন্যান্য বিজেপির কর্মীরা।
তখনই দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। জখম হয় উভয় পক্ষের অন্তত কুড়িজন সমর্থক। ভাঙচুর করা হয় দু’পক্ষের অন্তত ১৭ টি বাইক। কলেজের সামনে একটি দোকানেও হামলা করা হয়েছে।
পাশাপাশি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘ছাত্র সংসদ’ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় এবিভিপির সমর্থকরা । ঘটনা সামাল দিতে হাবড়া থানা ও গোবরডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এই ঘটনার জেরে কলেজ চত্বরে টি এম সি পি অভিযুক্ত এ বি ভি পি ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে কলেজ চত্বরে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।