”ভাগ্যিস তুমি নেই। তোমার তো একটা মেরুদণ্ড ছিল। তুমি এই সমাজ সহ্য করতে পারতে না।’ জন্মবার্ষিকীতে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কালিকা প্রসাদকে ‘খোলাচিঠি’ পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গায়িকা লিখলেন, ‘সাত বছর হয়ে গিয়েছে চর্মচক্ষে তোমায় দেখতে পাই না। মানুষের মধ্যে কী চূড়ান্ত দীনতা! মাঝে মাঝে ভাবি ভাগ্যিস তুমি নেই। তোমার তো একটা মেরুদণ্ড ছিল। তুমি এই সমাজ সহ্য করতে পারতে না।’ সেইসঙ্গে আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বর্তমান পরিস্থিতিকে নিশানা করে তিনি লেখেন, ‘দেশজুড়ে এক কি প্রচণ্ড জাগরণের লড়াই দেখছি প্রতিদিন জানো, মানুষ, যে মানুষ তোমার ঈশ্বর, আমার ত্রাতা, সেই মানুষ কি নির্ভীকতায় রাতের পর রাত পথে বিলিয়ে দিচ্ছে, সামান্য নৈতিকতার আশায়। তুমি তো বলতে সামান্য যা কিছু ভীষণ সততার দাবী রাখে তাকে অসামান্য হওয়া থেকে আটকাতে পারে এমন সাধ্য কার আছে! আজ আমার ধর্ষিতা মৃতা বোন তিলোত্তমার বিপ্লবে তোমার সেই কথা প্রতিনিয়ত বাস্তব হতে দেখছি…বিপ্লবে, দুঃসময়ে বড় মাছ ছোট মাছদের গিলে খায়। এই মাৎস্যন্যায় চিরন্তন। কিন্তু এর আগে প্রতিবাদের ভাষায় এত ভাবলেশহীন ভাবে পেটে লাথি মারার কর্মসূচী কখনও দেখিনি। যাঁদের অর্থ ও অন্ন সুনিশ্চিত, তাঁদের বিপ্লবের ভাষায় কত মানুষের দু’মুঠো অন্নের নিশ্চয়তা ভেঙে তছনছ হয়ে যেতে পারে, একবার কেউ ভাবছেন না। সহকর্মী? সতীর্থ? আইডল? দীর্ঘশ্বাস! তুমি থাকলে এমনটা ভাবতে?’