জম্মু কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র। ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে শুরু এই বৈঠক। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ১৪ জন নেতাকে আহ্বান করা হয় এই বৈঠকে। এদের মধ্যে রয়েছেন, মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী কবীন্দ্রর গুপ্ত ও জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপির প্রধান রবীন্দ্র রায়না, ফারুক আবদুল্লা সহ অন্যান্যরা। ইতিমধ্যেই মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ সহ অন্যান্য জম্মু- কাশ্মীরের নেতারা ওই বৈঠকে পৌঁছে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কাশ্মীরের বুকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে যেতে চলেছে, তার দিকে নজর দিয়ে এদিন রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর জোর দিতে চলেছে দিল্লির মহল বলে সূত্রের খবর।যদিও, বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা এখনও সরকারিভাবে জানানো হয়নি। তবে, রাজনৈতিক মহলের মতে, জম্মু-কাশ্মীরে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচন করানো প্রসঙ্গ উঠতে পারে। কারণ, ২০১৮ সালে মেহমুবা মুফতি ও পিডিপি সরকারের পতনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার গঠন করা হয়নি জম্মু-কাশ্মীরে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে যোগ দিতে বহু নেতারাই বুধবার রাতেই চলে আসেন রাজধানীতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ই অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করে মোদী সরকার। যা ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা দেশে। ৩৭০ ধারা রদের আগে নিরাপত্তার কড়া চাদরে কার্যত মুড়ে ফেলা হয় উপত্যকাকে। ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের জন নিরাপত্তা আইনে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। দীর্ঘদিন পর তাঁরা মুক্তি পান। যা ঘিরে সেইসময় সরগরম হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ৩৭০ ধারা রদের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা উল্লেখযোগ্য বলেও মনে করা হচ্ছে।
এই বৈঠকের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে ৪৮ ঘণ্টা রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচন করাতে চায় কেন্দ্র। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা আসনগুলির পুনর্বিন্যাসের কাজও করতে ইচ্ছুক মোদী সরকার। সে বিষয়ে আজকের বৈঠকে আলোকপাত করা হতে পারে বলে মনে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।