হলুদে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টাল উপাদান যা একত্রে মুখের দাগ দূর করে এবং একনে প্রতিহত করে। হলুদের ক্রমাগত ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাচা হলুদ আজকাল সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়।
লেবু আর শসার ব্লিচ
প্রাচীন আমলে লেবু আর শসার রস একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করা হতো মুখের ময়লা আর ট্যান দূর করার জন্য । লেবু আর শসা দুটোর মধ্যেই আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান ।
লেবু দিয়ে একনে দূর
এখনকার দিনে একনে একটি নিয়মিত সমস্যা । প্রাচীন যুগে সমপরিমাণ লেবুর রস আর পানি একত্রে মিশিয়ে একনের উপরে লাগিয়ে রাখা হতো। আর তাতেই হতো একনে দূর। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও কার্যকর বলে বয়স্করা বলে থাকেন ।
চোখের কালো দাগ দূর করতে আলু
দাদীরা বলেন যে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে আলু তুলুনাহীন। এটি চোখের নিচের ফোলাভাবও দূর করে। শুধু যা করতে হবে তা হল আলু পাতলা করে কেটে এটিকে ধুয়ে চোখের উপরে ৫-১০ মিনিট রেখে দিতে হবে এবং নিয়মিতভাবে এটি করতে হবে।
ফেইসপ্যাক হিসেবে মধু
মধুর ফেইসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে যা আপনি নিমিষেই করে দেখতে পারেন।
চির নবীন ত্বকের জন্য গাজরের রস
দাদীরা প্রায় বলে থাকেন যে প্রতিদিন গাজরের রস পান করলে অকালে ত্বকের বয়স বাড়বে না। গাজরে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল যা ত্বকের এবং চুলের জন্য বিশেষ উপকারী এটা আপনার চোখের জন্যও ভালো।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে গমের আটা
দাদীদের ত্বক পরিস্কার করার জন্য প্রধান উপাদান ছিলো গমের আটা দুধ বা পানির সাথে মিশিয়ে বানান পেস্ট।
কন্ডিশনার হিসেবে নারকেল তেল
চুলকে নরম রেশমি স্বাস্থ্যকর করে তুলতে আদিমকাল থেকেই নারকেল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই বাজারে অন্য যেকোনো রাসায়নিক কন্ডিশনার থেকে নারকেল তেল কন্ডিশনার হিসেবে অনন্য।
বর্তমানে আমাদের বাজারে রয়েছে অনেক রূপচর্চা পণ্য যার সবগুলো কিন্তু ভাল নয় । যার তথৈবচ ব্যবহার আমাদের ত্বককে বা চুল্ কে অনেকসময় সুন্দর আর মসৃণ করার পরিবর্তে করে তুলছে রুক্ষ আর প্রাণহীন । তাই আসুন রূপচর্চায় আমরা প্রকৃতিকেই আপন করে নেই । প্রাচীন সেইসব প্রাকৃতিক ভেষজ অবশ্যই আপনার ত্বককে বা চুলকে অবশ্যই সুন্দর রাখবে।