যারা প্রায়ই মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তাদের ডিপ্রেশন, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো অসুখ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে কীভাবে এসব অসুখের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখা সম্ভব, তার সেরা টিপসগুলো জেনে নিন।
ব্যায়াম বা খেলাধুলা
হালকা ব্যায়াম বা খেলাধুলা মানসিক চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জগিং বা সাইকেল চালালে স্ট্রেস হরমোন কমে গিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। সমীক্ষায় দেখা গেছে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত মানুষকেও হালকা খেলাধুলা বা ব্যায়াম প্রফুল্ল রাখে।
কিন্তু!রিল্যাক্স করার কৌশল
পেশী রিল্যাক্স করার নতুন কৌশলগুলোর মধ্যে যোগব্যায়াম বা ইয়োগা এবং মেডিটেশনের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিক চাপ কমে শরীর ও মনকে করে হালকা ও ফুরফুরে। বিশেষজ্ঞের মতে, প্রচণ্ড চাপ থাকা সত্ত্বেও অনেকের ক্ষেত্রেই ইয়োগা বা মেডিটেশনের মতো রিল্যাক্স করার এই নতুন কৌশল বেশ সাহায্য করে।
সবুজ প্রকৃতি সুস্থ রাখে
নেদারল্যান্ডের গবেষকরা খুঁজে বের করেছেন যে, সবুজ রং মানুষের নার্ভকে একদিকে যেমন শান্ত রাখে তেমনি আনন্দিতও করে। কারণ সমীক্ষায় জানা যায়, যারা শহরের কেন্দ্রস্থলে বসবাস করেন তাদের চেয়ে যাদের বাড়িতে বাগান আছে বা সবুজে ঘেরা বাগানের কাছাকাছি বসবাস করেন, তারা মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন।
কাজের ফাঁকে বিশ্রাম
শরীর এবং মন দু’টোরই মাঝে মাঝে ভালোভাবে বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে যারা সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের মানসিক চাপে রক্তে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে খানিকক্ষণ মুক্ত বাতাসে হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলে আবার বেশ তরতাজা বা ফ্রেশ হয়ে কর্মস্থলে ফেরা যায়।
মনকে শান্ত করার বিশেষ জায়গা
কিছুক্ষণের নীরবতা মাঝে মাঝে শরীর ও মনকে এতটাই শান্ত করতে পারে যে মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের বিরুদ্ধে তা ঠিক যেন ওষুধের মতো কাজ করে। তাই বাড়ির কোথাও একটি খালি ঘরে দিনে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় কাটাতে পারেন। যারা বড় শহরে থাকেন, তারা চলে যান কোনও মিউজিয়ামে বা লাইব্রেরিতে। আর শরীর ও মনকে শান্ত করতে পারে মসজিদ, মন্দির বা গির্জার মতো ধর্মীয় স্থানগুলোও।