জেলের রুটি, তরকারি রুচছে না সঞ্জয়ের। তার এসব খাবার চলবে না। চাই এগ চাউমিন। আরজি কাণ্ডে ধৃতের না পসন্দ এই খাবারই। প্রভাবশালীদের অলিন্দে ঘোরাফেরা করা সঞ্জয়ের বায়না, তাকে রুটি তরকারির বদলে এগ চাউমিন দেওয়া হোক। এ নিয়ে প্রায়ই মৃদু রাগারাগি চলছে জেলের কর্মীদের সঙ্গে। কথা কাটাকাটিও হয়েছে। গত নয় আগস্ট মাঝরাতে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-কাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজে ছবি দেখে তাকে ধরে পুলিশ। তারপর থেকেই জেলে রয়েছে সঞ্জয়। তার পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে। বন্দি অবস্থায় তাকে খেতে দেওয়া হচ্ছে রুটি-তরকারি। কিন্তু তা মুখে তুলতে ঘোর অরুচি ধৃতের। জেল কর্তৃপক্ষ ও জেলকর্মীকে সে জানিয়েছে রুটি খেতে সে ভালো বাসে না। তাকে এগ চাউমিন দেওয়া হোক। যদিও জেলে বন্দিদের নির্দিষ্ট খাবারের তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা মেনেই বন্দিদের সকাল থেকে রাতে খেতে দেওয়া হয়। জেল কর্তৃপক্ষ জানায় এ কারণে তাকে এগ চাউমিন খেতে দেওয়া হবে না। জেল থেকে খাবার আনা বা বাইরে থেকে খাবার আনার ব্যাপারে আদলতের নির্দেশ প্রয়োজন। তাই তার পছন্দমতো খাবার দেওয়া সম্ভব নয়। আর তাতে বেজায় চটে যাচ্ছে সঞ্জয়। কিন্তু এনিয়ে তর্কাতর্কি করলেও এছা়ড়া কিছু পাওয়া যাবে না জানার পর ওই রুটি তরকারি খেতে হচ্ছে তাকে। জানা গিয়েছে সিবিআই হেফাজত থেকে জেলে আসার পর থেকে খাবার নিয়ে তার পছন্দ-অপছন্দ জানাতে শুরু করেছে সঞ্জয়। জেলকর্মীদের আরও বেশিসময় ধরে ঘুমোনোরও কথা বলে সে। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি না হয় ক্ষোভে ফেটে পড়ে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত।