জ্বালানির দাম সারা দেশ জুড়েই ঊর্ধ্বমুখী। ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেট্রোল। কলকাতাতেও পেট্রোলের দাম ১০০ ছাড়িয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। শুধু পেট্রোল ডিজেল নয়, পকেটে ছ্যাঁকা লাগাচ্ছে রান্নার গ্যাসও। শনিবার জ্বালানির এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নামল তৃণমূল। জায়গায় জায়গায় পেট্রোল ডিজেলের আর রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ। শাসকদলের হেভিওয়েট নেতারাও তাতে অংশ নিয়েছেন। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে গোটা রাজ্যের পেট্রোল পাম্পগুলিতে চলছে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অবস্থান। শনি ও রবিবার বেলা ১০টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি এই কর্মসূচি চলবে বলে খবর। দক্ষিণ কলকাতার একাধিক পেট্রোল পাম্পে কর্মসূচির আকস্মিক পরিদর্শনে হাজির হয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। কর্মসূচি তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি কর্মীদের উদ্বুদ্ধও করেন তিনি। বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বেহালা চৌরাস্তার পেট্রোল পাম্পের কাছে এদিন অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। রত্না দেবী জানিয়েছেন এই বিক্ষোভ চলবে আগামীকাল পর্যন্ত। বেহালা পশ্চিমে বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয় বিধাননগরেও। লেকটাউনের ঘড়ি মোড়ে এদিন বিক্ষোভে বসেন তৃণমূল কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগর পৌর নিগমের পুর প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ বিধাননগর পৌর নিগম ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার কো-অর্ডিনেটররা। সুজিত বসু বলেন, কেন্দ্রের সরকার হল জনবিরোধী সরকার আর এই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও কেন্দ্রীয় সরকার দাম কমাচ্ছে না। টালিগঞ্জে অবস্থান বিক্ষোভের তদারকিতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস। ৯টি ওয়ার্ড জুড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পেট্রোপণ্য এবং রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানাতে এদিন পথে নেমেছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।