More
    Homeঅনান্যটাকা চুরি করে পালানোর সময় কাকা ধরে ফেলায়, লাঠিপেটা করে খুন করলো...

    টাকা চুরি করে পালানোর সময় কাকা ধরে ফেলায়, লাঠিপেটা করে খুন করলো ভাইপো।

    মালদাঃ- টাকা চুরি করে পালানোর সময় কাকা ধরে ফেলায় লাঠিপেটা করে খুন করলো ভাইপো, নেশাগ্রস্ত ভাইপো মাঝে মাঝেই বাবার ক্যাশবাক্স ভেঙে টাকা চুরি করত। আর এই চুরি হাতে নাতে ধরে ভাইপোর হাতে প্রাণ গেলো কাকার। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত আটটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ তোজি(৫৫)। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। রাত থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ভাইপো। অভিযোগ পেয়ে সমস্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা জহুর আহমেদ পেশায় রেশন ডিলার। জহুরের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে সেকেল আলী বহুদিন থেকে নেশাগ্রস্ত। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ সেকেল ব্রাউন সুগার সহ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত ছিল।

    তার জন্য রেশন ডিলার বাবার ক্যাশ বাক্স ভেঙে বহুবার টাকা চুরি করেছে।ধরাও পড়েছে বহুবার। প্রায় দেড় মাস আগে পুনরায় সে বাবার রেশন দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙে টাকা চুরি করে এবং সেই টাকা চুরির ঘটনা চোখে পড়ে কাকার। এই ঘটনার পরই সেকেলের বাবার সামনে তার কাকা মোহাম্মদ তোজি ভাইপোকে শাসন করে। এই ঘটনার দেড় মাস পরে গতকাল রাত আটটা নাগাদ কাকা তোজি মহেন্দ্রপুর পেট্রলপাম সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের কাছে একটি ভুটভুটিতে বসে চা পান করছিলেন। সেই সময় ভাইপো সেকেলে আলী পিছন থেকে বাঁশ নিয়ে কাকা কে আক্রমণ করে। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায় কাকাকে। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারায় রক্তাক্ত কাকা তজি। গ্রামবাসীরা তাকে স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তড়িঘড়ি চাঁচল মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন এবং পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

    টাকা চুরি করে পালানোর সময় কাকা ধরে ফেলায়, লাঠিপেটা করে খুন করলো ভাইপো।

    জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিফলন।

    এই ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ভাইপো সেকেল আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে মোহাম্মদ তজির তিন মেয়ে এক ছেলে। এর মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে এলাকায় মজুরি করে। ছোট মেয়ে সেরজুনি খাতুন জানালেন আমাদের পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য বাবাকে হারিয়ে আমরা পথে বসলাম। কিভাবে কি চলবে পরিবার বুঝতে পারছিনা। আমার বাবার খুনীর জন্য উপযুক্ত সাজা হয় এটাই আমাদের দাবি। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, ঘটনার অভিযোগ হয়েছে।অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে বিভিন্ন এলাকায়।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments