গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরেই তৃণমূলের প্রধান ও দলেরই কয়েকজন সদস্যের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল। দুপক্ষের অনুগামীরাই একে অন্যের উপরে লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকি গলায় চাদর, মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও হয় বলে একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। লোহার রডের আঘাতে প্রধান ও এক সদস্যের মাথা ফেটেছে বলেও অভিযোগ।
সদস্যরা জানান, টেন্ডারে বেনিয়ম হচ্ছে কেন, প্রধানের কাছে সেই অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন দলেরই তিন সদস্য। ওই সময় প্রধান দলবল নিয়ে তাঁদের উপরে হামলা চালান। যদিও সদস্যদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন প্রধান তফাজ্জল হক। তিনি বলেন, ”দলের কর্মসূচি সেরে পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলাম। তখনই রফিকুল ইসলাম-সহ বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য অফিসে ঢুকে আমার উপর চড়াও হয়। ওদের কথা মতো বেআইনি কাজ করিনি বলেই আমার উপর হামলা হয়। আমার বুকে পিঠে বেপরোয়া মারধর করেছে ওরা।”
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার ওই ঘটনাকে ঘিরে এলাকাজুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, সদস্যদের অন্ধকারে রেখে প্রধান একতরফাভাবে সব কাজ করছেন বলে বৃহস্পতিবার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম ও আরও দুই সদস্য। বিডিও অফিস থেকে তাঁরা সোজা পঞ্চায়েত অফিসে যান। সেখানেই প্রধান ও সদস্যদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বচসা শুরু হয়। বচসার সময়েই দু’পক্ষের অনুগামীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুপক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের বিবাদ নির্বাচনের মুখে অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরাও। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ”দৌলতপুরের ঘটনা কানে এসেছে। ওখানে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রশাসনকে। পাশাপাশি দলও ঘটনার তদন্ত করবে। কোনওরকম শৃঙ্খলাভঙ্গ দল মেনে নেবে না।” বিজেপি নেতা অজয় গাঙ্গুলি বলেন, ”টাকা পয়সার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের গন্ডগোল নতুন কোনও ব্যাপার নয়। গোটা রাজ্যেই চলছে। দৌলতপুরেও তারই পুনরাবৃত্তি হল।