মুখের চারপাশের কালো দাগকে বলে পিগমেন্টেশন (pigmentation)। এই দাগ হবার পেছনে অন্যতম কারণ হলো শরীরে টক্সিন (toxin) নামক বিষাক্ত পদার্থের আধিক্য বা তা শরীর থেকে বের না হওয়া। পরিপাক ক্রিয়ার সমস্যার কারণে টক্সিন জাতীয় পদার্থ শরীর থেকে বের হতে পারে না। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে এমনটা হয়। এছাড়া হরমোনের তারতম্য বা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্নির প্রভাবে এটি হয়ে থাকে। আবার যাদের ত্বক শুষ্ক তারা শীতকালে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। ওয়াক্স করার ফলেও ঠোঁটের চারপাশে কালো দাগ হয়।
ঠোঁটের চারপাশের কালো দাগ দূর করার উপায়সমূহ কী?
ঠোঁটের চারপাশের কালো দাগ দূর করতে ফেইস প্যাক – shajgoj.com
এই সমস্যার থেকে পরিত্রানের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে শরীরকে হাইড্রেট রাখা। পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার ফলে শরীর থকে খুব সহজে মুত্র বা মল ত্যাগের মাধ্যমে টক্সিন বেরিয়ে যায়। কারণগুলোতো জানা হলো কিন্তু এর থেকে পরিত্রানের ৬টি উপায় আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের এই প্যাকটি ঘরোয়া উপাদানেই তৈরি করতে পারবেন।
১) এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ টক দইয়ের মিশ্রণ।
২) ১ টেবিল চামচ দুধ ১ টেবিল চামচ বেসন ও ১ চা চামচ হলুদের মিশ্রণ।
৩) এক টেবিল চামচ ওটমিল, এক টেবিল চামচ টমেটো রস ও এক টেবিল চামচ টক দইয়ের মিশ্রণ।
৪) ১ টেবিল চামচ আনারস, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১/২ টেবিল চামচ আমন্ড এর মিশ্রণ।
৫) এক টেবিল চামচ ওটমিল (oatmeal) ও এক টেবিল চামচ দুধের মিশ্রণ।
৬) এক টেবিল চামচ শসার রস, এক টেবিল চামচ টমেটোর রস , দেড় টেবিল চামচ লেবুর রস ও দুই টেবিল চামচ যষ্টি মধুর গুঁড়া এর মিশ্রণ।
ব্যবহার বিধি
উপরোক্ত প্যাকগুলোর যে কোন একটি লাগাতে পারেন। প্যাক লাগানোর আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী কালো অংশে স্ক্রাবার লাগিয়ে স্ক্রাবিং করে নিন। এরপর মুখ ধুয়ে যেকোন ১টি প্যাক লাগিয়ে রাখুন শুকানো পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই দিন রাতে ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে দাগ হালকা হতে শুরু করবে।
কালো দাগমুক্ত ঠোঁট –
বিশেষ দ্রষ্টব্য
ফেইসপ্যাক লাগানো ছাড়া কালো দাগ হবার কারণ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টি পিগমেন্টশ ক্রিম ( anti-pigmentation cream) লাগিয়ে দেখতে পারেন । তবে আমি বলবো যেকোন রাসায়নিক ক্রিম ব্যবহারের চেয়ে প্রাকৃতিক প্যাক ব্যাবহার করাই উত্তম এবং অবশ্যই বাইরে বের হবার আগে সানব্লক/ সানস্ক্রিন ব্যবহার অত্যাবশ্যক।