বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সভার আগে অশান্তি ডায়মন্ডহারবারে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে নাড্ডার সভার আগে তাঁর কনভয় শিরাকোল মোড় থেকে দফায় দফায় আটকায়। কনভয়ে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় বাস, সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। ইট ছোড়া হয় কেন্দ্রীয় নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের গাড়িতে। গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে যায়। ড্রাইভারের দিকের কাচ ভেঙে পাথর গাড়ির ভেতরে ঢোকে। অভিযোগ এমনই।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুধবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, নাড্ডার কনভয়ে হামলা হতে পারে। নাড্ডার নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেন তিনি। যার অব্যবহিত পরে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেন শাহ।
অন্যদিকে শিরাকোল-ডায়মন্ডহারবার রোডের উপরে বিজেপির সভায় আসা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়েই টুইট করে তীব্র নিন্দা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিজেপি সভাপতির উপর হামলার ঘটনা এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থার পরিচয় দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘গোটা রাস্তা পুলিশ দিয়ে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। কিছু কিছু জায়গায় জনগণ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় আবার বলেছেন, ‘বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে।’
বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা আবার দাবি করেছেন, ‘আক্রমণে মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় আহত হয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জা। কনভয়ের সব গাড়িতেই আক্রমণ চালানো হয়েছে। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি।’ এরপর জনসভায় নাড্ডা বলেন, ‘এই গুন্ডারাজ বেশিদিন বরদাস্ত করা হবে না। জঙ্গলরাজ চলছে। প্রশাসন ভেঙে পড়েছে।’ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায়, ‘পুলিশের সামনেই এই আক্রমণ হয়েছে।’
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ যাত্রা শুরু করেন নাড্ডা। এরপর ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে বহু স্থানে তাঁর কনভয় আটকানো হয়। কলকাতা থেকে ডায়মন্ডহারবার আসতে যে পথগুলি ব্যবহার করা হয়, প্রায় প্রতিটি রোডের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান অনেকেই। শিরাকোলে কালো পতাকা হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।