More
    Homeঅনান্যতারুণ্য ধরে রাখতে ভিটামিন-ই কীভাবে কাজ করে?

    তারুণ্য ধরে রাখতে ভিটামিন-ই কীভাবে কাজ করে?

    চেহারায় বয়সের ছাপ কেন পড়ে?

     

    কোন সমস্যার সমাধান চাওয়ার আগে, সমস্যাটি কেন হচ্ছে তা জেনে নেয়াটা বেশি জরুরী। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কাজ কর্ম নানা কারণে ব্যাহত হয়। কোলাজেন নামক একটি উপাদান মূলত আমাদের স্কিনের তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করে। স্কিনকে টানটান রাখার পাশাপাশি মসৃণ রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই উপাদানটি। কিন্তু আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে আমাদের স্কিনের এই কোলাজেন উৎপাদনের ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক তারুণ্যও আস্তে আস্তে বিলীন হতে থাকে।

     

     

     

     

    এখন প্রশ্ন আসতে পারে তবে কি শুধু কোলাজেন নামক একটি উপাদানই এই সমস্যার জন্যে দায়ী? তা কিন্তু নয়। প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় আমরা এমন অনেক কাজ বুঝে না বুঝে করে চলেছি যার জন্যেও আমাদের ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়। যেমন, সারাদিন পরিমিত পরিমাণে পানি না পান করলে, ঠিক মত না ঘুমালে, খুব বেশি বাইরে বা রোদে থাকা হলে। পাশাপাশি ধূমপান করা এবং নানা রকম মানসিক চাপ থেকেও আমাদের চেহারায় সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে যায়।

     

     

     

     

    স্কিন টাইপ এবং ভিটামিন ই

     

    আমাদের স্কিনে ন্যাচারাল ভাবেই ভিটামিন ই থাকে। তবে ড্রাই, কম্বিনেশন এবং নরমাল স্কিনের চেয়ে যাদের স্কিন তুলনামূলক ভাবে একটু অয়েলি তাদের ত্বকে ভিটামিন ই উপাদানটির প্রোডাকশন বেশি হয়ে থাকে। তাই দেখা যায়, অয়েলি স্কিন যাদের তাদের যতটা না বেশি ভিটামিন ই প্রয়োজন এর চেয়ে অনেক গুণ বেশি প্রয়োজন হয় ড্রাই স্কিন যাদের তাদের। এবং বিশেষত দেখা যায় অয়েলি স্কিনের চেয়ে ড্রাই স্কিন যাদের তাদের মুখে বয়সের ছাপও পরে তাড়াতাড়ি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই যাদের ড্রাই স্কিন তাদের ভিটামিন ই এর প্রয়োজনীয়তা অন্যান্য স্কিন টাইপের চেয়ে বেশি।

     

     

     

     

    আমাদের স্কিনে থাকা ভিটামিন ই এর পরিমাণ কমে যায় কেন?

     

     

     

     

     

     

     

    ধীরে ধীরে আমাদের বয়স সময়ের সাথে বেড়েই চলেছে। সময় এবং বয়সের সাথে সাথে আমাদের স্কিনে থাকা প্রয়োজনীয় সব উপাদানগুলোর প্রোডাকশন এবং কাজ করার ক্ষমতাও কিন্তু কমে যেতে থাকে। একই ভাবে শরীরে বিদ্যমান ভিটামিন ই এর পরিমাণও কিন্তু আস্তে আস্তে কমে আসে। এর পাশাপাশি বাহ্যিক কারণ তো আছেই। তাদের মধ্যে অন্যতম হল ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি। সূর্যরশ্মিতে থাকে ক্ষতিকারক আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি। তাই আমাদের স্কিন যত বেশি এই আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির সংস্পর্শে আসে তত বেশি আমাদের স্কিনের সেলগুলোও ড্যামেজ হতে থাকে। কিছু কিছু উপাদান এই ক্ষতিকারক আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির বিপক্ষে ফাইট করে। তাদের মধ্যে ভিটামিন ই অন্যতম। ভিটামিন ই তে রয়েছে একটি স্ট্রং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই উপাদানটির মেইন কাজই হচ্ছে ক্ষতিকারক আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে শক্তি সঞ্চয় করা এবং তা ব্যবহার করে আমাদের স্কিনের উপর একটি ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তোলা।ো

     

     

     

     

    তবে একটা সময় স্কিনকে রক্ষা করতে করতে ভিটামিন ই এর নিজস্ব কার্যক্ষমতাও কমে আসতে থাকে। এই পর্যায়ই মূলত আমাদের প্রয়োজন হয় ভিটামিন ই যুক্ত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টসের, যা ভিটামিন ই এর কার্যক্ষমতা পুনরায় বৃদ্ধি করতে হেল্প করে।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments