তৃণমূল পরিচালিত চাকদহ পৌরসভায় উড়ছে উল্টো করে জাতীয় পতাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কিভাবে উল্টো করে লাগানো থাকে পতাকা উঠেছে প্রশ্ন। জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে উল্টো করে উড়ছে জাতীয় পতাকা। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কিভাবে উল্টো করে জাতীয় পতাকা লাগানো হতে পারে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। নিন্দার ঝড় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনা তৃণমূল পরিচালিত চাকদাহ পৌরসভার। গভীর চক্রান্ত করে জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছে পাল্টা দাবি পৌরসভার। দিন দুয়েক আগে চাকদহ পৌরসভার পুরনো ভবনে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। কিন্তু লক্ষ্য করা যায় জাতীয় পতাকাটি উল্টো করে লাগানো রয়েছে। এরপরেই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক।
এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ নিন্দা প্রকাশ করেছে। জেলাবাসীর দাবি, পৌরসভা যারাই পরিচালন করুক না কেন জাতীয় পতাকা অবমাননা করা অত্যন্ত অপরাধমূলক কাজ। পাশাপাশি ভারত ভাতার অপমান করা। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দা জনক। অবিলম্বে জাতীয় পতাকাটি ঠিক করে লাগানো উচিত।
এ বিষয়ে বিজেপি নেতার সোমনাথ কর বলেন, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। তার কারণ যে তৃণমূল ভারত স্বাধীন হওয়ার পরেও বিদেশি শক্তির কাছে রাজ্য সহ গোটা দেশটাকে বেচে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তাদের কাছ থেকে এর থেকে আর বড় কিছু আশা করা যায় না।। তৃণমূল জানিনা জাতীয় পতাকার কটি রং রয়েছে আর কোন রং কিসের প্রতীক। এটা অত্যন্ত নিন্দা জনক ঘটনা। অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
যদিও এই ঘটনা চক্রান্ত করে করা হয়েছে দাবি চাকদাহ তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু দাসের। তিনি বলেন যে ভবনে ওই জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছে সেটি পুরনো ভবন। আমরা ইতিমধ্যে নতুন ভবনে চলে এসেছি। তাই ওই পুরনো ভবনে জাতীয় পতাকা লাগানোর কোন মানেই হয় না। তবে এটা কে বা কারা সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে লাগিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ওই জাতীয় পতাকা খুলে নিয়েছি এবং চাকদহ থানার আইসির কাছে সম্পূর্ণ বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। তারা তদন্ত শুরু করেছে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা পরবর্তীকালে প্রকাশ্যে আসবে।