তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কার্যকরী ৪টি ফেইস ওয়াশ বা ক্লিনজার
(১) নিউট্রোজিনা অয়েল ফ্রি অ্যাকনে ওয়াশ
প্রথমেই আমি কথা বলবো, আমার খুবই প্রিয় Neutrogena Oil Free Acne Wash এই ফেইস ওয়াশটি নিয়ে। এই ফেইস ওয়াশটি আমি বহুদিন ব্যবহার করেছি। এর যে দিকগুলো আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে তা হলো-
আমাদের ত্বকের যে অতিরিক্ত সেবাম প্রোডাকশন হয়ে থাকে তা কনট্রোল করতে এটি দারুণ ভাবে সহায়ক।
এতে রয়েছে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড 2%, সোডিয়াম সি 14-16 ওলেফিন সালফোনেট এর মত দারুণ সব ইনগ্রিডিয়েন্টস, যা ব্রণের সমস্যার সমাধানে কার্যকরী।
খুব বেশি পরিমাণে নেওয়া লাগেনা। অল্প নিলেই পুরো ফেইসে কাভার হয় এবং ব্যবহার করার পর আপনার স্কিন একদমই অয়েল ফ্রি মনে হবে।
স্কিনকে ভেতর থেকে ডিপ ক্লিন করে।
এটি অ্যালকোহল ফ্রি একটি ফেইস ওয়াশ।
ব্রেকআউট প্রতিরোধ করতেও এটি খুবই কার্যকরী।
অনেক স্কিন স্পেশালিষ্ট ব্রণের সমস্যা রোধে এবং স্কিনের অতিরিক্ত অয়েল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ফেইস ওয়াশটি সাজেস্ট করে থাকেন। তবে অনেক সময় এই ফেইস ওয়াশ ব্যবহারে অনেকের স্কিন অতিরিক্ত ড্রাই হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ফেইস ক্লিন করার পর একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা মাস্ট।
(২) নিউট্রোজিনা ক্লিয়ার এন্ড সুদ মূজ ক্লিনজার
ত্বকের যত্নে হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। Neutrogena Clear & Soothe Mousse Cleanser ফেইস ওয়াশটিতে আছে হলুদের গুনাগুণ। চলুন জেনে নেই, কীভাবে এই ফেইস ওয়াশটি আপানার ত্বকের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।
ত্বকের মলিনতা এবং ফ্যাকাশে ভাব দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।
যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ বা বলিরেখার সমস্যা রয়েছে তারা নিশ্চিন্তে এই ফেইস ওয়াশটি ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে, যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
ব্রণের দাগ এবং লোমকূপ থেকে অতিরিক্ত তেল বের হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয়।
ত্বকের কালচে দাগ এবং পিগমেন্টেশন কমাতে হলুদ দারুণভাবে কাজ করে।