আপনার ত্বকের ধরনভেদে মধুর অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল মাস্ক
আমি নরমাল স্কিন, অয়েলি স্কিন, ড্রাই স্কিন, নরমাল স্কিন ও সেনসিটিভ স্কিনের জন্য তথা ত্বকের ধরনভেদে মধুর আলাদা আলাদা মাস্ক নিয়ে এখন জানাবো।
১. অ্যাভোক্যাডো ও মধু ফেইস মাস্ক নরমাল স্কিনের জন্য
যা যা লাগবে
-২ টেবিল চামচ অ্যাভোক্যাডো
-২ টেবিল চামচ মধু
-১ টা ডিমের কুসুম
কিভাবে অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল মাস্কটি বানাবেন?
সব উপাদান একসাথে নিয়ে একটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন অথবা হাতের সাহায্যে ভালোভাবে চটকান। আপনার পরিষ্কার করে ধোয়া মুখের ত্বকে এই পেস্ট মাস্ক আকারে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং পরে ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্ক কেবল আপনার ত্বকে অ্যান্টি-এজিং-এর কাজই করবে না বরং আপনার ত্বক লাইটেনিংও করবে।
২. মধু ও ডিম ফেসমাস্ক ড্রাই স্কিনের জন্য
যা যা লাগবে
-১ টেবিল চামচ মধু
-১টি ডিমের কুসুম
-১ টেবিল চামচ দই
-১\২ চা চামচ আমন্ড অয়েল
কিভাবে অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল মাস্কটি বানাবেন?
একটি বড় বাটিতে সব উপাদান দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি আঠালো আর গাঢ় আকার ধারণ করে। এবার এটা আপনার মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে পরে একটি মাইল্ড ফেসিয়াল সোপ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
মধু আপনার ত্বক স্মুদ করবে, অ্যালমন্ড ত্বক ময়েশ্চারাইজ করবে, দই ত্বক রিফাইন ও পোরস লক করবে আর ডিমের কুসুম ত্বক মইয়েশ্চারাইজ করার সাথে ত্বক লাইটেন করবে।
৩. মধু ও গাজর ফেইসমাস্ক অয়েলি স্কিনের জন্য
যা যা লাগবে
-১\২টা গাজর
-২\৩ টেবিল চামচ মধু
কিভাবে অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল মাস্কটি বানাবেন?
গাজর ভালোভাবে সিদ্ধ করে চটকে মিহি পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এতে মধু মিশিয়ে ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। এবার এই পেস্ট লাগানোর পূর্বে আপনার ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ত্বকে লাগান এবং ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
গাজরকে ভিটামিন এ, সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-এর পাওয়ার হাউজ বলা যায়, যা ত্বকে অ্যান্টি-এজিং এর কাজ করবে। আর মধুর মিনারেলস, এনজাইম ও সুগার ত্বকের লাবণ্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।