সোজা উপকারিতায় না গিয়ে একটু কোকোনাট মিল্ক তৈরির রেসিপিটা জেনে নিলে কেমন হয়? কোকোনাট মিল্ক তৈরি কিন্তু সহজ!
(১) ২ কাপ গ্রেট করা নারকেল
(২) ১ কাপ পানি
প্রথমে পানি সামান্য গরম করে নিন তবে পানি ফুটাবেন না।খুব বেশি গরম বা ফুটনো পানি দিলে নারকেলের প্রাকৃতিক গুণাগুণগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। কাজেই খুব হালকা গরম পানি প্রয়োজন হবে।
এবার একটি ব্লেন্ডারে গ্রেটেড কোকোনাট নিয়ে তাতে ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। অনেকে হাত দিয়ে চটকেই নারকেল থেকে নির্যাস বের করে নেন।
এবার একটি পরিষ্কার কাপড়ে ব্লেন্ড করা নারকেলের মিশ্রণ ঢেলে গিঁট দিয়ে ঝুলিয়ে দিন নিচে একটি পাত্র রেখে দিন।
নিচের পাত্রে দেখবেন খুব ঘন তরল জমেছে। ব্যস তৈরি হয়ে গেল কোকোনাট মিল্ক।
রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে
শুষ্ক ত্বকের জন্য এর চেয়ে পরম বন্ধু কিন্তু আর একটিও খুঁজে পাবেন না। আমার মুখ কম্বিনেশন টাইপ। কিছু জায়গা বেশ অয়েলি কিছু জায়গা হালকা ড্রাই। তবে মুখ বাদে শরীরের বাকি অংশের স্কিন খুব শুষ্ক। গরমের দিনেও গোসলের পর বডি লোশন না দিলে টানটান অনুভূতি হয়। এর থেকে বাঁচতে আমি কোকোনাট মিল্কের একটি বডি লোশন ইউজ করি। এছাড়া যেদিন হাতে সময় পাই সেদিন কোকোনাট থেকে মিল্ক বের করে তাতে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি আধা কাপ রোজ ওয়াটার এবং এক কাপ কোকোনাট মিল্ক মিক্স করে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে গোসলটা সেরে ফেলি। গোসলের পর নতুন করে আর কোন ময়েশ্চারাইজার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না।
তবে আপনার কাছে এই পদ্ধতিটা ঝামেলার মনে হলে ড্রাই স্কিনে কোকোনাট মিল্ক রাব করে ৩০ মিনিট সময় দিন স্কিন একাই অ্যাবজর্ব করে নিবে। দেখবেন ধীরে ধীরে ত্বকের ড্রাইনেস মিলিয়ে গেছে।
রোদে পোড়া ত্বকের রঙ ফিরিয়ে আনতে
কেবল এই একটি উপাদান দিয়েই কিন্তু জেদি সান ট্যান রিমুভ করা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তাহল রোদে পোড়া স্থানে ঠাণ্ডা কোকোনাট মিল্ক দিয়ে মোটা পরত লাগিয়ে রাখুন। এতে থাকা ন্যাচারাল ফ্যাট এবং তেল ত্বকের গভিরে প্রবেশ করে রোদে পুড়ে লালচে হয়ে যাওয়া দাগ রিমুভ করে এবং ময়েশ্চারাইজ করে। রোদে পুড়ে লালচে হয়ে যাওয়া দাগ থেকে মুক্তি পেতে এই প্রলেপ কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলতে পারেন তবে এই প্রলেপটি সারা রাত রাখতে পারলে বেশি তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়।
বলি রেখা দূর করতে
কোকোনাট মিল্কের নিয়মিত ব্যবহার বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো ত্বকের গভিরে প্রবেশ করে এইজিং প্রোসেসকে স্লো ডাউন করে এবং ত্বকের ফ্লেক্সিবিলিটিকে ত্বরান্বিত করে। এভাবেই ত্বক ঝুলে যাওয়া, এইজ স্পট এবং রিংকেল পড়াকে বাধাগ্রস্ত করে। খুব সহজ একটি বডি রিংকেল নাইট ক্রিমের রেসিপি শিখিয়ে দিচ্ছি এরজন্য যা যা লাগবে-
(১) ৬-৮ টা আমন্ড/ কাঠ বাদাম
(২) ৩-৪ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল
(৩) ২ টেবিল চামচ কোকোনাট মিল্ক
– কাঠ বাদামগুলো সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন খোসা ছাড়িয়ে স্মুদ পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
– কাঠ বাদামের পেস্ট এ বাকি উপকরণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং কোকোনাট মিল্ক মিক্স করে নিতে হবে।