চারিদিকে শুধু জল আর জল। সেই জল চিরে চলেছে নৌকা। আর তাতে চেপে গাঁটছড়া বেঁধে লাল বেনারসি পরে বরের সাথে শ্বশুরবাড়ি চলেছেন কনে। এই দৃশ্য কিছুটা হলেও মুখে হাসি ফোটালো আমতা দুই ব্লকের বন্যা দুর্গত মানুষের মুখে।
কিন্তু আসার তো কথা ছিল সাজানো-গোছানো চারচাকা গাড়িতে। উপায় নেই যে। আমতা ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। মাঠঘাট, পথ সবই যেন নদীসম। অগত্যা তাই ভাঙাচোরা নৌকাই ভরসা বরযাত্রীদের। ঝক্কিও কম নেই, কার্যত প্রাণ হাতে নিয়েই ফিরতে হচ্ছে। একটু তালবেতাল হলেই বিপদ ওঁত পেতে রয়েছে যে। এমনই নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরের সেহাগড়ি এলাকা থেকে সেহাগড়ি পাত্র পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে নৌকায় চেপে রওনা দিলেন নতুন কনে সায়নী পাত্র। পাশে নতুন বর চিরঞ্জিত পাত্র।
সায়নীর বাপের বাড়ি আমতা দু নম্বর ব্লকের ভান্ডারগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর। কয়েক মাস আগে সায়নী ও চিরঞ্জীতের বিয়ে ঠিক হয়। চিরঞ্জিত পেশায় ব্যবসায়ী। এলাকাতেই তার ব্যবসা। বিয়ের জন্য সবকিছু তোড়জোড় প্রায় শেষের মুখে ছিল। হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল।সারা হয়েছে আত্মীয়-স্বজনকে নেমন্তন্নের কাজ।সানাইয়ের আওয়াজ আর আলোর রোশনাই ভরে থাকার কথা ছিল পাত্র পাড়ায়। কিন্তু হঠাৎ বন্যা সব আনন্দে কার্যত জল ঢালা হয়ে যায়।