ছয়টি বিধানসভা আসনে বড় জয়কে সামনে রেখে আজ, সোমবার কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের মূল লক্ষ্য দলের অভ্যন্তরে নতুন শৃঙ্খলা তৈরি এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে এই বৈঠক হলেও, এটি শুধুই নিয়ম রক্ষার সভা নয়। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার রূপরেখা তৈরি করতে পারেন। সাংগঠনিক রদবদল এবং বিতর্ক নিয়ে আলোচনা দলের অভ্যন্তরে সম্প্রতি কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর জি কর হাসপাতালের ইস্যু থেকে শুরু করে দলের কয়েকজন নেতার মন্তব্য শীর্ষ নেতৃত্বকে বিব্রত করেছে। দলীয় সূত্রে খবর, এই সব বিষয়ে কড়া বার্তা দিতে পারেন মমতা। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ-মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে এক বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে দলের অস্বস্তিও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মমতা দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের গুরুত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো সদস্যরা জেলে থাকায় বৈঠকে অনুপস্থিত থাকবেন। তবে জামিনে মুক্ত অনুব্রত মণ্ডল এই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন। বীরভূমের এই শীর্ষ নেতার উপস্থিতি নিয়ে দলে আলাদা আগ্রহ রয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বৈঠকে মমতা এবং অভিষেক দলের সংসদীয় ভূমিকা, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কৌশল, এবং সংগঠনের রদবদল নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। লোকসভার আসন্ন অধিবেশনে দলের ভূমিকা কী হবে, তা-ও নির্ধারণ করা হতে পারে। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মমতার এই বৈঠক থেকে নতুন শৃঙ্খলার বার্তা দলের সব স্তরে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।