অষ্টমী থেকে দশমী পুজোর শেষ তিন দিন বাংলা ভাসাবে ভারী বৃষ্টি- এমনই পূর্বাভাস ছিল আবহাওয়া দফতর। তবে সেইসঙ্গে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছিল, অষ্টমী-নবমী কোনওরকমে কাটলেও দশমী থেকেই বৃষ্টির প্রকোপ শুরু হবে বঙ্গে। সেই আশঙ্কা বাড়িয়ে দুপুরের পর থেকেই মুখ ভার হয়ে আছে আকাশের। একইসঙ্গে বিদায়ী বর্ষা ঝটকা দিতে পারে জোড়া নিম্নচাপের চোঙরাঙানিতে, এমন পূর্বাভাস জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
শুক্রবার দশমীর বিকেল থেকেই আকাশের মুখ ভার হয়ে রয়েছে। যে কোনও সময়ে বৃষ্টি এসে মাটি করে দিতে পারে সিঁদুর খেলার আনন্দ। দুই সাগরে জোড়া নিম্নচাপের ভ্রূকুটির মধ্যে আরও এক আশঙ্কার পূর্বাভাস জারি হয়েছে। চিন সাগরে তৈরি হওয়া টাইফুন কোমপাসু ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম উপরূলে ধাক্কা খাওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে পারে। ঘূর্ণাবর্তের রূপে বঙ্গোপসাগরে এসে শক্তি বাড়িয়ে পুনরায় ঝড়ের রূপ নিতে পারে।
এদিক আবহাওয়া দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দশমীতেও পিছু ছাড়বে না বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় ঝড়-জলের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। জোড়া নিম্নচাপের প্রভাবে দ্বাদশী থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মোকাবিলা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গকে। জেলা জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। আর তার পিছু পিছু টাইফুন ঘুর্ণাবর্তের রূপ নিয়ে ধেয়ে আসতে পারে বঙ্গোপগার দিয়ে।
তবে টাইফুন কোম্পাসুর ঘূর্ণাবর্ত হয়ে ধেয়ে আসার সম্ভাবনা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। এমনিতেই জোড়া নিম্নচাপের জেরে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। তারপর পিছনে ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিয়ে কোম্পাসু পদার্পণ করলে রক্ষা নেই। উত্তাল হয়ে উঠবে বঙ্গোপসাগর। সেই কারণে মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী তিন-চারদিন।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। রবিবার থেকে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শুরু হয়ে যাবে। হাওড়া, হুগলি ও কলকাতাও এই দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলাও ভাসাবে জোড়া নিম্নচাপ।