দূরপাল্লার ট্রেন গুলিতে সাধারণ শ্রেণীর কামরায় মানুষ যাতায়াত করেন ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে। সে ক্ষেত্রে বেশিরভাগ যাত্রীকেই এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সফর করতে হয়। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট পরীক্ষকের কাছ থেকে সংরক্ষিত আসন পাওয়ার জন্য চলে নানান আর্থিক দুর্নীতি।
তাই এই সমস্যার সমাধানের জন্যই রেল কর্তৃপক্ষ ভাবছে সাধারণ বা জেনারেল কামরা তুলে দেবে। তার পরিবর্তে আসবে সংরক্ষিত বাতানুকূল কামরা।
এমনি থেকেই প্রচুর পরিমাণে টাকা দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করা অনেকের সামর্থের মধ্যে থাকে না। তাই সাধারণ যাত্রীদের অনেকেই মনে করছেন, এই নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আরো বাড়তে পারে। কিন্তু সাধারণ কামরা তুলে দিলে এবং তার পরিবর্তে সংরক্ষিত বাতানুকূল কামরা করলে দাম বাড়বে ঠিকই, কিন্তু যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ এবং সুরক্ষার দিকটিও নিশ্চিত হবে।
এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করা হলেও, ইতিমধ্যে বাতানুকূল কামরা তৈরীর কাজ শুরু হয়ে গেছে। কপূরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরি এবং রায়বরেলীর মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরিতে সেই কাজ চলছে। রেল সূত্রের খবর অনুযায়ী নতুন সংরক্ষিত এই বাতানুকূল কামরায় প্রায় ১২০ জন যাত্রী বসে সফর করতে পারবেন। তবে টিকিটের দাম বাড়লেও আকাশছোঁয়া হবে না।
এছাড়াও যে ট্রেন গুলি প্রায় ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে যায় ,সে ক্ষেত্রেও নতুন কামরা সংযুক্ত করা হবে। সেইসব কামরায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় দরজা। এই নতুন উদ্যোগের একটাই উদ্দেশ্য , যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং স্বাচ্ছন্দ্যের সফর প্রদান করা।