দ্বিতীয় দফায় আগামী ১ এপ্রিল ৩০ বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ হবে। ওই ৩০ আসনের মধ্যে সারা দেশের নজর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের দিকে। কেননা ওই আসনে নিজেদের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। শেষ পর্যন্ত ভাগ্যলক্ষ্মী কার প্রতি সদয় হবেন, তা জানতে ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু খবরের শিরোনামে থাকা নন্দীগ্রাম আসনে বিশেষ নজর থাকছে নির্বাচন কমিশনের। দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যের যে ৬ কেন্দ্র লাল সতর্কতা কেন্দ্র বা রেড অ্যালার্ট কনস্টিটিউয়েন্সি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল নন্দীগ্রাম। বুধবার বেসরকারি নির্বাচনী নজরদার সংস্থা ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফার ভোটে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিস্লেষণ করে এক রিপোর্ট জনসমক্ষে আনা হয়েছে। ওই রিপোর্ট বলছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যের ৩০ আসনের মধ্যে ৬ আসনে তিন বা ততোধিক প্রার্থী রয়েছদেন যাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই কেন্দ্রগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছে রেড অ্যালার্ট কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র। ওই আসনে জেতার জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন ৬ জন। তার মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে। ওই চার জন হলেন বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআই ও নির্দল প্রার্থী। পাঁশকুড়া পূর্ব আসনে ৭ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন তার মধ্যে ৩ জনই ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে ভোট ভাগ্য পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন আটজন। তার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী, সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও এক নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।