ধর্ষণ করে এক শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে হোজাই সহ গোটা অসমে। তবে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। তাঁর ফাঁসির দাবিতে হোজাই থানা প্রাঙ্গণে পরিস্থিতি উত্তাল করে তুলেছেন স্থানীয় উত্তেজিত জনতা।
প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, হোজাইয়ের বরহোলা গ্রামে মামার বিয়েতে গিয়েছিল একটি ফুলমতি শিশুকন্যা। গতকাল শনিবার রাতে শিশুকন্যাকে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বিকৃতমনস্ক এক যুবক বিয়েবাড়ি থেকে অন্যত্র নিয়ে যায়। এর পর তার ওপর পাশবিক অত্যাচার করে। সে তাকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত থাকেনি, প্রমাণ লোপাট করতে মেয়েটিকে নৃশংসভাবে মেরে ফেলে।
এদিকে রাতে আচমকা শিশুকন্যাটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তার মা বাবা থেকে শুরু করে বিয়েবাড়িতে উপস্থিতরা চঞ্চল হয়ে উঠেন। গোটা রাত তার সন্ধানে ছুটে বেরিয়েছেন গোটা গ্রামের মানুষ। তবে আজ রবিবার ভোরের দিকে স্থানীয়রা বরহোলা গ্রামের একটি মাঠে শিশুটির নিথর দেহ দেখে শোরগোল তুলেন। ইত্যবসরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় পুলিশের দল। তাঁরা তত্পরতার সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে গ্রামেরই বাসিন্দা জয়প্ৰকাশ ওরফে মুন্না হালোয়া নামের এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশি জেরায় সে তার কুকর্মের কথা স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দ্য প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট বা পোকসো আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে মুন্না হালোয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে মৃত শিশুকন্যার মৃতদেহটি মাঠ থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সরকারি হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।