দানবের মতো প্রবল গ্রর্জন করতে করতে সে আসছে। সে মানে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় “আসনা”। এনিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে দিল্লির মৌসম ভবন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। যদিও উপকূলে পৌঁছতে পৌঁছতে কমে যাবে ঝড়ের গতি। তবে তার প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে,যা ভাবাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। এরইমধ্যে প্রবল বৃষ্টিতে দেশের অনেক অঞ্চল বিপর্যস্ত। গুজরাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে মারা গিয়েছেন একশোরও বেশি মানুষ। গৃহহীন বহু। বৃষ্টির প্রকোপ থেকে রেহাই পায়নি আরও অনেক রাজ্য।
গত আটচল্লিশ বছরের মধ্যে আরব সাগরে এমন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে। এর আগে ১৯৭৬ সালে শেষবার আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল আরব সাগরে। মৌসম ভবন জানিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে মহারাষ্ট্রে। প্রভাব পড়তে পারে গুজরাটেও। এমনিতে প্রবল বর্ষাতে হাল খারাপ সে রাজ্যে। তার ওপর আসনার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হলে একেবারে ভেসে যাবে গুজরাট। তবে সব চেয়ে প্রভাব বেশি পড়বে মহারাষ্ট্রে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আসনার গতিবেগ হতে পারে ষাট থেকে পঁয়ষট্টি কিলোমিটার। এ বছর জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত গুজরাট ও কচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল সাতশো মিলিমিটার। সাধারণত এসময় এই এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ থাকে ৪৩০ মিলিমিটার। ফের বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির আরও খারাপ হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমে পড়েছে প্রশাসন। সবমিলিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দু:শ্চিন্তায় গুজরাট সরকার।