নতুন বছরেও পারদ পতন অব্যাহত। আজ রবিবারও কিছুটা নামলো তাপমাত্রার পারদ। এদিন শহর কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোটামুটি ১৩ ও ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যা ছিল ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী সপ্তাহে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে রাতে ও সকালের দিকে ঠাণ্ডা অনুভূত হলেও দিনের মাঝামাঝি সময় সেভাবে শীতকে পাওয়া যাবে না। এদিনও সকালের দিকে কোথাও কোথাও কুয়াশা থাকলেও পরের দিকে আকাশ মূলত পরিস্কারই থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
শীতের ইনিংস লম্বা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই মতো গতবছরের শেষের দিকে শুরু হয়ে এই বছরেও শীতের ব্যাটিং অব্যাহত। যদিও শুরুটা অবশ্য এমন ছিল না। গত বছর ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সেভাবে ঠাণ্ডাকে উপভোগ করতে পারেননি শীত প্রেমীরা। সকালের দিকে কুয়াশা ও ঠাণ্ডার অনুভূতি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত তা উধাও হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো গত মাসের ১৭ – ১৮ তারিখ থেকে নামতে শুরু করে তাপমাত্রার পারদ। শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও বেশ খানিকটা নেমে যায় তাপমাত্রা। মুখে হাসি ফোটে শীত প্রেমীদের।
আগামী সপ্তাহে কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়াবিদদের। তাপমাত্রা বাড়ার অন্যতম কারণ হল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আলিপুর জানিয়েছে, রবিবারের পর থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। ফলে উত্তুরে হাওয়া বাধা পাবে। সেইসঙ্গে প্রভাব বাড়বে পূবালী হাওয়ার। আর সেই কারণেই আগামী সপ্তাহে বাংলায় শীত কমবে। তবে শীত কমলেও তার আমেজ বাঙালি এখনও বেশ কয়েক দিন উপভোগ করতে পারবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আগামীকাল রবিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি ও জম্মু-কাশ্মীরে। সোম ও মঙ্গলবার জম্মু- কাশ্মীর, লাদাখ ও মুজাফফরাবাদে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতেও। লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। এছাড়া কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।