নদীয়ার শাল ফুল উৎসব আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনন্য এক উৎসব
এখন আর নদীয়ায় আগের মতো শাল ফুল পাওয়া যায় না। তাই বলে উৎসবে ভাটা পড়ে নি। অন্যান্য ফুল দিয়েই চলেছে উৎসব। এই উৎসব অবশ্য বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। প্রকৃতির পূজারী অর্থাৎ আদিবাসী সম্প্রদায় মানুষজন এই পরবের আয়োজন করে থাকেন। প্রকৃতির সন্তানরা গাছের তলায় অথবা জাহের থানে পুজো নিবেদন করেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন আছেন তারা নানা নামে এই উৎসব উদযাপন করছেন। যেমন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ বাহা উৎসব পালন করেন। সাঁওতালি ভাষায় বাহা অর্থাৎ ফুল। পুরুলিয়ায় এই উৎসবকে সাহরুল বলা হয়। সাহরুল অর্থাৎ শাল গাছের ফুল। নদিয়ার মানুষরা বর্তমানে এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখলেও তারা শাল ফুল শুধু নয়, অন্যান্য ফুলের ব্যবহার ও করে থাকে।
এই পরব মূলত শাল গাছের ফুলকে কেন্দ্র করেই হয়। তবে বর্তমানে নদিয়াতে শাল ফুল সেভাবে না পাওয়াতে সবরকম ফুল তারা ব্যবহার করে। মূলত জাহের থানে মহিলারা প্রবেশ করে না। নদিয়াতে এ দৃশ্য অন্যরকম মহিলা পুরুষ উভয়ই প্রকৃতির পূজা করে থাকেন। পুজো শেষে যে ফুল থানে উৎসর্গ করা হয়েছিল সেগুলো একে অপরের মাথায় লাগিয়ে দেয়। বাহা পরবে রং বা আবিরের ব্যবহার নিষিদ্ধ।শুধুমাত্র জল ছেটানোর ছাড়পত্র আছে।তবে সেক্ষেত্রেও সম্পর্ক মেনে চলতে হয়। তবে ফাগুয়া ও সারহুল পরবে গাছের গায়ে আবির লাগানো হয়। এভাবেই প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা আদি কাল থেকে চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।