এবার রাজ্যের বাজেটে ‘নদী বন্ধন’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে যেমন নদীর বাঁধ দেওয়া হবে তেমনই নদীকে দূষণমুক্ত করার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। সুটুঙ্গা নদী মাথাভাঙা শহরের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত দীর্ঘ সময় ধরে। বর্তমানে এই নদীর ওপর দ্বিতীয় পাকা সেতু নির্মাণের পর সমস্যা তৈরি হয়। সেতুর নিচে একটি পুরনো কাঠের সেতুর অংশ ও নির্মাণ সামগ্রী পড়ে রয়েছে এখনও পর্যন্ত। বর্ষার সময় সেই নির্মাণ সামগ্রীতে কচুরিপানা ও অন্যান্য বর্জ্য আটকে নদীতে দূষণ ছড়ায়। এছাড়া নদীর বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় মানুষেরা নোংরা আবর্জনা ফেলে থাকেন। সেখান থেকেও দূষণ ছড়াচ্ছে নদীর মধ্যে। সেই কারণেই সুটুঙ্গা নদী পরিদর্শন করা হল মাথাভাঙা নদী রক্ষা কমিটির সদস্যদের দ্বারা। জানা যাচ্ছে, এবার নদী দূষণ রোধে বড়ো পরিকল্পনা যাতে চলেছে কোচবিহার প্রশাসন।
স্থানীয় একজন পরিবেশ কর্মী জানান, “প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে নদীবক্ষে বেআইনি কৃষিকাজ চলছে প্রতিনিয়তই। রাসায়নিক সার ব্যবহার করার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ নদীয়ালী মাছ। এছাড়া সুটুঙ্গা নদী ও মানসাই নদীর সংযোগস্থলে পুরসভা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করেছে। যেখান থেকে সরাসরি নদীর মধ্যে প্লাস্টিক ও রাসায়নিক বর্জ্য মিশছে। যাতে নদীর দূষণের মাত্রা বেড়ে উঠছে আরও অনেকটাই। ফলে মাথাভাঙা শহরের ফুসফুসকে বাঁচাতে এই বিশেষ প্রয়াস নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। দ্রুত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে নদীর দূষণ বন্ধ করা হোক।” এখন দেখার সেই নদীকে বাঁচনোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা কার্যকরি ভূমিকা নেওয়া হয়!