নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পরে কেটে গেছে একসপ্তাহের বেশি সময়। তার পরে এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করল ফরেন্সিক দল। তৃণমূলের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখে জানিয়েছে, হামলা নয়, দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেছিলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজা খোলা ছিল, সেটিই একটি খুঁটিতে লেগে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে আঘাত করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য প্রথমে জানিয়েছিলেন, চার-পাঁচ জন লোক তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল। পরে বলেন, প্রচণ্ড ভিড়ে গাড়িটা চেপে যায় তাঁর পায়ে।গতকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার বিরুলিয়া বাজারে পৌঁছয় ফরেনসিক দল। যে খুঁটিতে গাড়ির দরজা লেগেছে বলে জানা গেছে, আধিকারিকরা সেই খুঁটির দূরত্ব ও উচ্চতা মেপে দেখেন। খুঁটিগুলিতে দাগ রয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হয়।
গতকালই মেদিনীপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আবারও বলেন, তাঁকে আঘাত করা হয়েছে। আগে তাঁকে সিপিএম মারত, এখন বিজেপি মারে বলেও দাবি করেন তিনি। জানান, তাঁর সর্বাঙ্গে চোট রয়েছে, পা বাকি ছিল, সেটাও জখম হল। তাঁর পায়ে এখনও রক্ত জমাট বেঁধে আছে, পা নাড়াতে পারছেন না বলেও দাবি করেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই বলেছে, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর কোনও হামলা হয়নি। দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের গাফিলতিতেই তিনি আহত হয়েছেন বলে লেখা হয়েছে। এমনকি কর্তব্যে গাফিলতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে সাসপেন্ডও করেছে কমিশন। সরানো হয়েছে জেলার এসপি ও ডিএম-কে।