তিনি হুইলচেয়ারে বসে রয়েছেন। বাঁ পায়ে ব্যান্ডেজ। তার উপর স্পেশাল শ্যু পরানো। সেই পা-টা হুইলচেয়ারের উপর একটু তুলে রাখা। বাংলায় এ ছবি বেনজির। রবিবাসরীয় দুপুরে এ ভাবেই মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে তাঁর মিছিল হবে হাজরা মোড় পর্যন্ত।
আজ নন্দীগ্রাম দিবস। তাই বাড়িতে বসে থাকতে পারছেন না তিনি। পায়ে বড় আঘাত রয়েছে। কিন্তু মানুষ তাঁকেই পাশে চায়। একবার দেখতে চায় বাংলার নেত্রীকে। যিনি নন্দীগ্রামে গিয়েই আঘাতের শিকার হয়েছেন। সকালে নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে টুইট করেছিলেন। শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন সেদিন যাঁরা পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের জন্য। তিনি ভোলেননি। তিনি ভোলেন না। তাই তো কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রাম থেকেই। কারণ সেখানের মানুষের সর্বক্ষণের সঙ্গী হতে চাইছেন তিনি। যাঁরা তাঁর দিকে তাকিয়ে আছেন। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ গোটা বাংলার মানুষের জন্য তিনি রাজপথে নামছেন। সঙ্গী সেই হুইল চেয়ার। আঘাতের পর যা পেয়েছেন তিনি।
একুশের নির্বাচনেও নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। কারণ এবারে সেখান থেকেই লড়াই করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। পায়ে চোটের পর এটাই প্রথম প্রচার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত একটি মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই হুইল চেয়ারে বসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঘাত পাওয়ার কারণেই আজ হাঁটতে পারলেন না মহামিছিলে। সেই মিছিল শুরুর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভাঙা পায়েই খেলা হবে।’