নারদ কাণ্ডে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চিঠি দিল সিবিআই। নিয়মানুযায়ী সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। তাই এক্ষেত্রে চার্জশিট পেশ করতে গেলে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন। সেই কারণেই এই চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে নারদ-কাণ্ড সামনে আসে। দেখা যায় শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ টাকা নিচ্ছেন। ওই ফুটেজে দেখা যাওয়া অনেকে পরে বিজেপিতেও সামিল হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মন্ত্রীও ছিলেন। তবে এখনও যাঁরা মন্ত্রী রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে সিবিআই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে বলে খবর। এর আগেও সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চেয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। প্রসঙ্গত, ওই ফুটেজে যাঁদের দেখা গিয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজনের জীবনাবসান ঘটেছে। ২০১৮ সালে সাংসদ থাকাকালীনই প্রয়াত হন সুলতান আহমেদ। সম্প্রতি নারদ-কাণ্ড নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিটি জনসভায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বলছেন, ‘টিভিতে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে তোমায় দেখা গেছিল। তোলাবাজ তো তুমি। আবার বড় বড় কথা।’ পাল্টা শুভেন্দু সম্প্রতি বলেছেন, ‘তাহলে বাবুসোনা, তোমার বড় জ্যাঠা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কী হবে? ত্যোমার মেজো জ্যাঠা মাস্টারমশাই সৌগত রায়ের কী হবে? তোমার পিসিমণি কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কী হবে? আর তোমার কাকু ববি হাকিমের কী হবে?’ প্রসঙ্গত এই সবাইকেই নারদ ফুটেজে দেখা গিয়েছিল। নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত অবিভক্ত বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএইচ মির্জাকেও গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। গত বিধানসভা ভোটের আগে নারদ স্টিং অপারেশন তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। জানবাজারের সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আগে জানলে এঁদের টিকিট দিতাম না।’ এবার একুশের বিধানসভা যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে তখন মন্ত্রীদের নাম চার্জশিট দিতে চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিল সিবিআই।