পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন করা হল। বোমাবাজিতে আহত হয়েছেন আরও দু’জন। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে সেই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নারায়ণগড়ের মকরামপুরের অভিরামপুরে চারজন তৃণমূলকর্মী গল্প করছিলেন। অভিযোগ, সেইসময় বাইকে করে এসে তাঁদের লক্ষ্য করে তিনজন গুলি চালায়। ছোড়া হয় বোমা। একজন পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূলকর্মী শৌভিক দলুই (৩৫)। বোমায় আহত হন সীতারাম মুর্মু এবং অমিত মণ্ডল। তাঁদের প্রাথমিকভাবে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শৌভিককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অপর দুই আহত তৃণমূলকর্মীর চিকিৎসা চলছে।
হামলার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা লক্ষ্মীকান্ত শিট এবং তাঁর দলবলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন , সদ্য নাকফুঁড়ি মুর্মুকে সরিয়ে লক্ষ্মীকান্তকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি করা হয়। যে লক্ষ্মী ২০১৮ সালে মকরামপুরে তৃণমূলে কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। স্বভাবতই তাঁকে দলে নেওয়ায় দলের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। লক্ষ্মীকান্ত দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নাকফুঁড়ি অনুগামীরা কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সীতারামও।