সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ঢাকা থেকে দিল্লি এসেছেন সোমবারই। পাশাপাশি, বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন একাধিক আওয়ামি লিগের নেতা। বাংলাদেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময়ে সেনার হাতে গ্রেফতারও হতে হয়েছে হাসিনা সরকারের একাধিক মন্ত্রীদের। হাসিনার সরকারের পতন হলেও হিংসা অব্যাহত আছে বাংলাদেশে। সেখানে আওয়ামি লিগের অনেক নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। সোমবার থেকে বুধবার, দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩০জনের বেশি আওয়ামি লিগের নেতার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর, এই সময়েই আপাতত নিখোঁজ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের বিখ্যাত নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। চলতি বছরেই ঢাকা-১০ আসন থেকে আওয়ামি লিগের হয়ে লড়াই করে সংসদ সদস্য হন তিনি।
কিন্তু হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুজব রটেছে যে হাসিনা চলে যাওয়ার পরেই পালিয়েছেন ফেরদৌসও। তিনিও ভারতে পালিয়ে এসেছেন বলে রটেও গিয়েছে। তবে একাংশের দাবি বাংলাদেশেই কোথাও গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও নিরাপদ জায়গায় বা আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন ফেরদৌস বলে জানান তাঁরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, এখন বন্ধ আছে ফেরদৌসের মোবাইল। তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের ফোনও বন্ধ আছে বলে তাতে জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ফেরদৌস। চলতি বছরেই প্রথমবারের মতন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ঢাকা-১০ আসনে থেকে প্রথমবার লড়াই করেই সংসদ সদস্য হন তিনি।
জানা গিয়েছে, ফেরদৌসকে শেষবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল গত সপ্তাহে। সেখানে ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে হামলা হয়েছিল। বিটিভি ভবনে কী ক্ষতি হয়েছিল সেটা দেখার জন্য আরও কয়েকজনের সঙ্গে গিয়েছিলেন ফেরদৌস। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যে না।