নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই আমেরিকার (usa) বাহিনী আফগানিস্তান (afghanistan) ছাড়ল। তালিবানদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৩১ অগাস্ট সেনা সরানোর শেষ দিন ছিল। কিন্তু সোমবার রাতে সি-১৭ বিমানে কাবুল ছাড়ে আমেরিকার বাহিনী। তবে বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে খবর আফগানিস্তানে এখনও প্রায় ৩০০ জন মার্কিনী রয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০ বছর আফগানিস্তানে কাটাল মার্কিন সেনা। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকাও তাদের দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধ শেষ করল ৩০ অগাস্ট।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আফগানিস্তান ছাড়ল মার্কিন সেনা, তালিবানদের ‘স্বাধীনতা’র উল্লাস
Read More-BREAKING: আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডি-র জেরার মুখে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজ
তালিবানদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকা তথা ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তান ছাড়ার কথা ছিল ৩১ অগাস্ট। কিন্তু বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সরানো নিয়ে সেখানে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময় অবশ্য তালিবানদের তরফে বারবার সময়সীমা মানার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমেরিকাকে। তবে আমেরিকার আফগানিস্তান ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ছেড়ে গেল হাজারো আফগানকে যাঁরা গত ২০ বছর ধরে আমেরিকাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে।
এদিকে আমেরিকার C-17 বিমান কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তান জুড়ে উত্সব শুরু হয়ে যায়। উত্সব পালন করে তালিবানরা। কোথাও বাজি পুড়িয়ে আবার কোথাও শূন্যে গুলি চালিয়ে তালিবানরা উত্সব পালন করে। তালিবানদের মুখপাত্র কারি ইউসুফ বলেছেন, আমেরিকার শেষ সেনা কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেশ পুরোপুরি স্বাধীনতা পেল।
এদিকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তাদের দেশের সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আফগানিস্তানে তাদের সেনার ২০ বছরের উপস্থিতি শেষ হয়েছে। পাশাপাশি যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ চালিয়েছে সেনা, তার জন্যও তিনি দেশের সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি বলছেন, এবার যাঁরা আফগানিস্তান ছাড়তে চান, তাদের জন্য ব্যবস্থা করার দায়িত্ব তালিবানদের।
তবে যেভাবে আফগান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন, বাইডেন, তার সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান, সবাই। বিশেষ করে তালিবানদের কাবুল দখল করার পর থেকে। আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, C-17 বিমানে শেষ আফগানিস্তান ছেড়েছেন, আফগানিস্তানে আমেরিকার প্রধান রাষ্ট্রদূত। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, আফগানিস্তানে আর কোনও সেনা নেই।
তবে আমেরিকার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে প্রায় ছয় হাজার দেশের নাগরিককে সরানোর কথা ছিল। তবে আফগানিস্তানে এখনও প্রায় ২৫০ জনের বেশি তাদের দেশের নাগরিক রয়ে গিয়েছেন। তাঁরা আফগানিস্তান ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও, এয়ারপোর্ট পর্যন্ত আসতে পারেননি। চেষ্টা করা হলেও তাঁদের বের করে আনা যায়নি বলে জানিয়েছে আমেরিকার সেনা।