More
    Homeঅনান্যপরিপূর্ণ ফেসিয়ালে কী কী ধাপ রয়েছে?

    পরিপূর্ণ ফেসিয়ালে কী কী ধাপ রয়েছে?

    (১) ক্লিঞ্জিং এবং ম্যাসাজিং (Cleansing and Massaging)

     

    (২) স্টিমিং (Steaming)

     

    (৩) স্ক্রাবিং (Scrubbing)

     

    (৪) ফেসপ্যাক (Facepack)

     

    (৫) টোনিং (Toning)

     

    (৬) ট্রিটমেন্ট (Treatment)

     

    (৭) ময়েশ্চারাইজিং (Moisturizing)

     

    (১) ক্লিঞ্জিং এবং ম্যাসাজিং: ফেসিয়াল করার পূর্ব শর্ত হলো ত্বক পরিষ্কার করা। ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার করার জন্য ক্লিঞ্জিং ক্রীম, ক্লিঞ্জিং অয়েল, ম্যাসাজ ক্রীম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাসাজ ক্রীম ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বাটিতে ম্যাসাজ ক্রীম এবং তাতে এক টুকরা বরফ নিয়ে তা ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর গলাসহ পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন পাঁচ মিনিট। ম্যাসাজ হয়ে গেলে তুলো ভিজিয়ে গলা ও মুখ মুছে নিন।

     

    (২) স্টিমিং: এবার পালা স্টিমিং করার। স্টিমিং করার ফলে ত্বকের পোরসগুলো খুলে যায় এবং ত্বকের ভেতরকার ময়লা দূর হয়। একটি বাটিতে কুসুম গরম পানি নিন এবং তা থেকে গরম পানির ভাপ মুখে নিন। স্টিমিং করতে না চাইলে একটি তোয়ালে সহনীয় গরম পানিতে ভিজিয়ে হালকা করে মুখের উপর চেপে ধরুন পাঁচ মিনিট। যাদের ত্বক শুষ্ক এবং সংবেদনশীল তারা স্টিমিং করবেন দুই মিনিট।

     

    (৩) স্ক্রাবিং: স্টিমিং করার পরবর্তী কাজ হলো স্ক্রাবিং করা। স্ক্রাবিং করার ফলে ত্বকের মরা কোষ উঠে যায়, ব্ল্যাকহেডস দূর হয় এবং ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী স্ক্রাবিং প্রথমে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন তিন মিনিট। এরপর পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ হয়ে গেলে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী প্রাকৃতিক স্ক্রাবার নিচে দেয়া হলো-

     

    তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্ক্রাব: ১ টেবিল চামচ চিনি এবং অর্ধেকটি টমেটো দিয়ে তৈরি করুন স্ক্রাব।

    শুষ্ক এবং মিশ্র ত্বকের জন্য স্ক্রাব: ২ টেবিল চামচ অটমিল, হাফ চামচ দারুচিনি গুঁড়া এবং ২ চা চামচ তরল দুধ মিশিয়ে তৈরি করুন স্ক্রাব।

    সংবেদনশীল ত্বকের জন্য স্ক্রাব: ব্যবহৃত গ্রীন টি প্যাক হতে পাতা সমূহ বের করে তাতে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।

    (৪) ফেসপ্যাক ব্যবহার: স্ক্রাবিংকরার পর ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ফেসপ্যাক গলাসহ মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ফেসপ্যাক নিচে দেওয়া হল-

     

    তৈলাক্ত ত্বক – মসুর ডাল বাটা, শসার রস ও ডিমের সাদা অংশের পেস্ট অথবা মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের পেস্ট।

    শুষ্ক ত্বক – সয়া পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ ও গাজরের রস মেশানো পেস্ট।

    সাধারণ ত্বক – বেসন ও গোলাপ জলের পেস্ট ও তার সঙ্গে গ্লিসারিন ।

    সংবেদনশীল ত্বক – শসা, গোলাপ জল, কাঁচা হলুদের পেস্ট।

    (৫) টোনিং: টোনিংকরার ফলে ত্বক ঠান্ডাহয় এবং ত্বকের খুলে যাওয়া পোরস বন্ধ হয়। টোনার হিসেবে রোসবেরি ওয়াটার, রোজ-ওয়াটার, শসার রস ব্যবহার করতে পারেন। একটি তুলোর বল তৈরি করে তাতে টোনার নিয়ে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত।

     

    (৬) ট্রিট: উপরের ছয়টি ধাপ করার পর ত্বক কিছুটা সংবেদনশীল হয়ে পরবে। এর জন্য দরকার ট্রিট। ট্রিট এর জন্য যে কোন ভালো তেল, যেমন – অলিভ ওয়েল , আমন্ড ওয়েল অথবা নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ফোটা তেল মুখে মেখে পাঁচ মিনিট রেখে দিন।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments