সামনেই দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দিল্লিতে বিজেপির পরিকল্পনা বৈঠকে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির প্রচার কৌশল ও সেখানে নেতৃত্বের ভূমিকা কী হবে সেটা স্থির করতেই এই বৈঠক। রবিবার দিনভর দিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ে এই ব্লু প্রিন্ট তৈরি হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যে পাঁচ রাজ্যে সামনে ভোট সেগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচ্চেরি। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও তামিলনাড়ুতে ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে। বাংলাকে এবার পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এসে বলেছেন, ২০০-র বেশি আসসন নিয়ে এবার ক্ষমতায় আসতে চলেছেন তাঁরা। কেরলে ক্ষমতায় বামেরা। সেখানে ভাল ফল করতে মরিয়া বিজেপি। তামিলনাড়ুতেও জোট সঙ্গী এআইএডিএমকের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের জন্য অসমে সরকার ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে। পুদুচ্চেরিতে আবার কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে বিজেপি।
আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রচার শুরু করতে চলেছেন মোদী। পাঁচ রাজ্যেই প্রচারে যাবেন তিনি। সেইসঙ্গে এই রাজ্যগুলিতে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন তিনি। ভোটের আগে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করে জনমানসে কিছুটা প্রভাব ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। মার্চের শুরুতেই এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যেই বাংলায় দু’বার এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী কাল ডানলপের সাহাগঞ্জে সভা তাঁর। ২৮ ফেব্রুয়ারি একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে ফের বাংলায় আসার কথা মোদীর। ৭ মার্চ ব্রিগেডে সভা রয়েছে বিজেপির। সেটাই গেরুয়া শিবিরের সামনে সবথেকে বড় শক্তি পরীক্ষা হতে চলেছে। নির্বাচনে পাঁচ রাজ্যে বিজেপি কী পদ্ধতিতে প্রচার করবে বা নির্বাচনে লড়বে তা নিয়ে আলোচনার জন্যই এদিন দিল্লিতে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মোদী।