ফের জাল ওষুধের কারবারের বাড়বাড়ন্ত। খোদ কলকাতায় ধরা পড়ল জাল ওষুধের কারবারি। পাইকারি ওষুধের বাজারে ধরা পড়ল সন্দেহজনক ওষুধ। সেগুলি আপাতত পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হচ্ছে। সতর্ক করা হয়েছে ওষুধ বিক্রেতাদের। তাদের বোঝানো হয়েছে কীভাবে তারা আসল নকলের পার্থক্য করবে। এর পরেও যদি তাদের ভুল হয় তবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা।
ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, বাজেয়াপ্ত করা বেশির ভাগ ওষুধই ভুয়ো। সব থেকে আশঙ্কার যেটা, তা হলো আসল ওষুধের সঙ্গে এক বাক্সেই ছিল সন্দেহজনক ওষুধগুলি। ফলে সাধারণ ক্রেতারা আসল ওষুধ ভেবেই সেগুলি কিনে থাকেন। যাতে সন্দেহ না হয় তাই জাল ওষুধ গুলি আসল ওষুধের বাক্সে রাখা ছিল।
দশ পাতার একটি ওষুধের বাক্সে ৭-৮ পাতা আসল ওষুধের পাশে মিলছে সন্দেহজনক দু’-তিন পাতা। এই তালিকায় রয়েছে ব্লাড সুগার, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হদযন্ত্র সুস্থ রাখার ওষুধ। রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, হাঁপানির ওষুধও। আপাতত নকল ওষুধ গুলো আলাদা করে সরিয়ে রাখা হয়েছে। ওগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, দেশ জুড়ে চড়চড়িয়ে বাড়ছে জাল ওষুধের ব্যবসা। শিকার বানানো হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তদন্তকারী আধিকারিকরা সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন ওষুধ কেনার সময়ে অবশ্যই ক্যাশ মেমো নিতে হবে। তাতে যেন ব্যাচ নম্বরের উল্লেখ থাকে। খুচরো বিক্রেতাদের বলা হয়েছে, অনুমোদিত ডিলার বা স্টকিস্টদের থেকেই ওষুধ নিতে। জাল ওষুধের অনুসন্ধানে এখন সব স্তরেই তল্লাশি চলবে।