দুর্গাপুজোর সময় খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেকের মনেই কৌতূহল থাকে। পুজোর রসগোল্লা, লুচি-আলুর দম, বিরিয়ানি – এই সব খাবারের প্রলোভন কাটিয়ে উঠা কঠিন। তবে, স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে পুজোর এই কয়েকদিন খাদ্যতালিকা সামলাতে হয়।
কী খাওয়া উচিত?
ফল: কাঁঠাল, আমড়া, আঙ্গুর, কলা – এই সব ফল শরীরে জলীয় পদার্থের ঘাটতি পূরণ করে এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সরবরাহ করে।
সবজি: সবজি রান্না করে বা স্যালাডের আকারে খেতে পারেন। সবজি শরীরকে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেয়।
দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুধ, দই, পনির – এই সব খাবার শরীরকে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
মসলা: হলুদ, ধনে, জিরা – এই সব মসলা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হজমেও সাহায্য করে।
কী খাওয়া উচিত নয়?
অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার: লুচি, বিরিয়ানি, ফ্রাইড খাবার – এই সব খাবারে অতিরিক্ত চর্বি থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মিষ্টি: রসগোল্লা, চন্দ্রমুখী, পায়েস – এই সব মিষ্টিতে চিনি এবং ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ওজন বাড়াতে পারে।
অ্যালকোহল: পুজোর সময় অ্যালকোহল সেবন অনেকেরই অভ্যাস। তবে, অ্যালকোহল লিভারের ক্ষতি করতে পারে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।
রাস্তার ধারের খাবার: রাস্তার ধারের খাবারের স্বাস্থ্যকরতা নিয়ে সন্দেহ থাকে। তাই, যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
পুজোর সময় খাওয়ার কিছু টিপস:
ছোট ছোট করে খান: একবারে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে ছোট ছোট করে বারবার খান।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং হজমে সাহায্য করে।
সবজি এবং ফল বেশি করে খান: সবজি এবং ফলে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং ফাইবার থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।
রাতে হালকা খাবার খান: রাতে হালকা খাবার খেলে ভালো ঘুম হয় এবং ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
বিশেষজ্ঞ মত:
একজন পুষ্টিবিদ বলেন, “পুজোর সময় স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে খাওয়া খুবই জরুরি। সুষম খাদ্য গ্রহণ করে এবং কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করে পুজোর আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব।”