প্রতিটি জেলায় এখন চোরাচালান বন্ধ করতে জোর দিয়েছে প্রশাসন। তার ফলে সারাদিন তটস্থ পুলিশ কড়াকড়ি বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তার জেরে একের পর এক অপরাধ আটকে দিচ্ছে জেলা পুলিশ। শুধু তাই নয়, অপরাধীও ধরা পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছিল। মাদক কারবারিরা বুঝতে পারছিল এবার পুলিশ খোদ ডেরায় হাত দিচ্ছে। তাই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠল এক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মালদহের কালিয়াচকের বালিয়াডাঙায়।
পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল মাদক কারবারি, তীব্র উত্তেজনা মালদহের কালিয়াচকে
Read More-আজ সেনা দিবস, এই বিশেষ দিনে বিশেষ বার্তা দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
পুলিশ সূত্রে খবর, মাদক কারবারির চালানো গুলি কোনও পুলিশের গায়ে লাগেনি। কারণ তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। সেই গুলিতে আহত হয়েছেন স্থানীয় যুবক রাজীব শেখ। তাঁর তলপেটে গুলি লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজীবের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার কুম্ভীরাতে। অভিযুক্ত মাদক কারবারিকে তাড়া করে ধরে ফেলা হয়েছে। ধৃতের নাম আসমাউল শেখ। তার বাড়ি কালিয়াচকের কলেজ মোড়ে।
এই আসমাউল শেখ দীর্ঘদিন মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত। মালদহ সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এখান থেকে সে মাদক অন্যত্র পাচার করত। আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারের সঙ্গে সে জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। প্রায় ৪০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আসমাউল গ্রেফতার হলেও তার এক সঙ্গী পালাতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মাদক পাচার শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নেই। আসমাউলের হাত ধরে এই মাদক পাচার হতো বাংলাদেশ এবং নেপালেও। কয়েক মাস ধরেই মালদহের সীমান্তবর্তী এলাকা হবিবপুর, বামনগোলা এলাকায় মাদক কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, মাদক কারবারিদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছে কারা? এই জাল অনেকদূর বিস্তৃত বলে মনে করা হচ্ছে।