পূর্ব রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে বিধ্বংসী আগুনে আরও দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হল। তার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়। আগুনে ঝলসে এবং দমবন্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল। পৃথকভাবে তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশ এবং দমকলও।
দুটি লিফট থেকে ন’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত একটা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও সবাইকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে মৃতদের মধ্যে আছেন পূর্ব রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থসারথি মণ্ডল, দমকলের চার কর্মী, হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই, আরপিএফের এক কনস্টেবল। বাকি দু’জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। রাতে এসএসকেএমে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগুনে ঝলসে যাওয়ায় দেহগুলি শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু’তিনজনের দেহ চিহ্নিত করেছেন সহকর্মীরা। ময়নাতদন্ত রাতেই করা হয়। যা বাধ্যতামূলক। কিন্তু শনাক্তকরণ ছাড়া কি আমরা পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে পারি?’
সোমবার সন্ধ্যায় ৬টা ১০ মিনিটে স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসের ১৩ তলায় আগুন লাগে। সেই সময় অফিসে প্রায় ৫০০ জন ছিলেন। আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে ১২ তলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সবমিলিয়ে মোট ২৫ টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকে। ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু রাতের দিকে ফের কয়েক দফায় নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত ভোর ৪ টে ১০ মিনিট নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আপাতত কুলিং অফ করার প্রক্রিয়া চলছে। কয়েক জায়গা থেকে ধোঁয়া দেখা গিয়েছে। তা থেকে দমকলের অনুমান, এখনও কয়েকটি জায়গায় ‘পকেট ফায়ার’ রয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসবে ফরেন্সিক দল। কী কারণে আগুন লেগেছে, সেই কারণ খতিয়ে দেখা হবে।