ডাল শস্য চাষের একটা বড়ো সমস্যা ওই বীজ মাটিতে ছাড়ালেই পাখিতে খেয়ে নেয়। এতে চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই পূর্ব বর্ধমানের পালিটা গ্রামের চাষি উদয়ন ঘোষ জানিয়েছেন, ”আমি এটা পায়রা চাষ করছি । বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় এই বিষয়ে জেনেছিলাম। ধান গাছ যখন জমিতে থাকে, সেই অবস্থায় ধান কাটার ৫-৭ দিন আগে বীজ ছড়িয়ে দিতে হয়। ধান কাটার পরে সেই ধান জমিতে মিলে দিতে হবে। জমি প্রস্তুত করার পর বীজ ছড়ালে পাখিতে বীজ খেয়ে চলে যায়। এই পদ্ধতিতে পাখিতে বীজ খাওয়ার ভয় থাকে না।” স্বাভাবিক কারণেই কম খরছে লাভ বেশি হয়।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ১ ব্লকের পালিটা গ্রামের বাসিন্দা উদয়ন ঘোষ। বয়স ৬০ পেরিয়েছে , তবে এখনও কৃষিকাজ থেকে সরে যাননি। প্রতিনিয়ত চাষের প্রতি ঝোঁক যেন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন রকমের নতুন নতুন চাষ করেছেন একাধিকবার। তবে এবার এক বিশেষ পদ্ধতিতে ডাল শস্য চাষ করছেন তিনি। এই পদ্ধতিতে মুসুর ডাল, ছোলা, সর্ষে, মটর সহ আরও বিভিন্ন ডাল শস্য চাষ করা সম্ভব। এছাড়া এই বিশেষ পদ্ধতিতে ডাল শস্য চাষ করলে কোনও অর্থ খরচ হবেনা। এখনো ধীরে ধীরে অন্যান্য চাষীরাও সেই পায়রা পদ্ধতি অনুসরণ করা শুরু করেছেন।