পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মাইশোরা অঞ্চলের চকগোপাল গ্রামে তৈরি হতে চলেছে বীরভুমের তারাপীঠের আদলে দ্বিতীয় তারাপীঠ।
যেখানে কোষ্ঠী পাথরের তৈরি তারা মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রায় ৮০ ফুট উচ্চতায় তৈরি মন্দিরে মায়ের মূর্তী দর্শন করতে হতে হলে দর্শনার্থীদের একান্ন ধাপ পাথর বসানো সিঁড়ি ভেঙে উপরে ওঠে তারামায়ের দর্শন করতে পারবে আগত দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি ছয় একর জমি জুড়ে এই মন্দির তৈরির পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে সাধক বামাক্ষ্যাপা আশ্রম এবং বড় শ্মশান। আগামী ১২ ই জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা হবে মূর্তি, যাঁর ফলে জোরকদমে চলছে নির্মানের কাজ। এমন দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দির কাছে পেয়ে খুশি সর্বত্র পাঁশকুড়াবাসী। বীরভুমে গিয়ে আর দর্শন করতে হবে না, একই ধাঁচে তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় তারাপীঠ, এমনকি মন্দিরে ওঠার মুখে এবং একান্ন সিঁড়ি বেয়ে ওঠার মুখে তৈরি করা হয় বসার সিট। কয়েক কোটি টাকা খরচে তৈরি হচ্ছে এই মন্দির। এলাকার স্থানীয় স্বর্ণকারদের উদ্যোগে তাঁদের ব্যক্তিগত খরচে তৈরি হয় এই মন্দির। মন্দিরের পুরহিত বলেন বীরভুমের তারা মা যা ভোগ গ্রহণ করেন, একই ভোগ এখানের মা ও পাবেন। ওখানে পূজার্চনার যা নিয়মনীতি এখানেও সেই একই নিয়মনীতি মেনে হবে তারা মা এর পূজা।
পূর্ব মেদিনীপুরবাসী এক ডাকে চিনবে পাঁশকুড়ার তারাপীঠ। দ্বিতীয় তারাপীঠের উন্মোচিত হওয়ার পর নানান ফিল্মস্টারদের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলবে নানান অনুষ্ঠান।