শুক্রবার কলকাতার যোধপুর পার্কের এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ডার্টি পিকচার খ্যাত অভিনেত্রী আরিয়া ওরফে দেবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তাক্ত দেহ। মৃত্যু নিয়ে রহস্যজট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছিল, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকেই চোখ রেখেছিলেন লালাবাজারের হোমিসাইড বিভাগ। শনিবার বিকালে প্রকাশ্যে এল সেই রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, মাল্টি অর্গান ফেলিওরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। হার্ট,কিডনির মতো অঙ্গগুলি বিকল হয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর, ছিল লিভার সিরোসিস। মাটিতে পড়ে যাওয়ার সময় মাথা ফেটে যায় আরিয়ার, ঠোঁট ও নাকেও আঘাত মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণেই। আরিয়ার শরীর থেকে প্রায় ২ লিটার মদ মিলেছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, যোধপুর পার্কের ওই বাড়িতে একাই থাকতেন আরিয়া। এক তলা ও দুতলার সব জানালা-দরজা বন্ধ থাকলেও ছাদের দরজা খোলা ছিল। পরিচারিকা অনেক ডাকাডাকি করে সারা না মেলায় প্রতিবেশীরা লেক থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তিন তলার ঘরের দরজা ভেঙে অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার করে। অপর একটি ঘরে চিত্কাররত অবস্থায় পাওয়া যায় আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য কুকুরটিকে। ঘটনার দিন খাটে মধু মিশিয়ে ওয়াইন খাচ্ছিলেন তিনি, বিছানায় পড়ে ছিল পানমশাল প্যাকেটও। চিকিত্সা সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজগপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ, জানা গিয়েছে এক বছর আগে আরিয়ার শরীরে হেপাটাইটিস বি বাসা বাঁধে। কিডনির সমস্যাও ছিল। তবে প্রায় এক বছর ঠিকভাবে চিকিত্সা করাচ্ছিলেন না তিনি। ঘর থেকে মিলেছে রক্তমাখা টিস্যু পেপার। পুলিশ জানতে পেরছে, নাক-মুখ থেকে মাঝে মধ্যেই রক্ত পড়ত তাঁর। ঘটনার দিন বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করলেও, তা খাননি অভিনেত্রী।