প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে বড় বিপর্যয় সেবক-রংপো নির্মীয়মাণ টানেলে। সূত্রের খবর, নাগাড়ে বৃষ্টিতে ধস নামে রেলপথের টানেলে। সেই সময় কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। জখম পাঁচ জন। কালিম্পং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ভালুখোলাতে দুর্ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিম্পং থানার পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় সাত জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয় রাতেই। কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাকিদের চিকিত্সা চলছে। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় মৃত ও আহত শ্রমিকরা বিহার থেকে এসেছিলেন। জখমদের তিনজনের চিকিত্সা চলছে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে। বাকি দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার হরি কৃষ্ণ পাই বলেছেন, এখনও বিশদে কিছু জানা যায়নি। যতদূর খবর মিলেছে, গতকাল রাতে টানেলে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে ধস নামে। জখম হন সাতজন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সেবক থেকে সিকিমের রংপো অবধি রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সাল থেকে। ২০০৯ সালে ৩০ অক্টোবর তত্কালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম যুক্তকারী রেলপথ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি নির্মাণের মোট ব্যয় চার হাজার টাকা। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই থাকছে প্রায় ৪১ কিলোমিটার পথ। সেখানে অভয়ারণ্য এবং হাতির করিডরও রয়েছে। জানা গেছে, দীর্ঘ রেলপথের প্রায় ৮৬ শতাংশই অংশই টানেলের মধ্যে পড়ে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।