More
    Homeঅনান্যপ্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চার অজানা কৌশল!

    প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চার অজানা কৌশল!

    ১. আটা

    ক. রান্না ঘরের আটা আপনার ত্বক পরিচর্যায় অনেক সহায়ক হতে পারে। যে ধরনেরই ত্বক হোক না কেন, আটা সব ত্বকের জন্যেই ভালো কাজ করে। ১ টেবিল চামচ পরিষ্কার আটা নিয়ে তার সাথে গরুর কাঁচা দুধ, একটু কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে মুখে মেখে ১০/১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।

    খ. আটা পানিতে ফুটিয়ে পেস্টের মতো করে মুখমন্ডলে লাগালে মুখের ছিট ছিট তিলের দাগ অনেক হালকা হয়ে যায়।

    গ. বেসনের মতো আটা হাতে নিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে সাবানের মতো মুখ পরিষ্কার করা যায়।

    ঘ. দুধের সরের সাথে আটা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন।

     

    Egg-White-Mask২. হলুদ

    হলুদের গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। রূপচর্চায় হলুদের ভূমিকা অনেক। অতীতে নানী-দাদীরাও হলুদ ব্যবহার করতেন। নানান রোগের জন্যে কাঁচা হলুদের রসও খেতেন। ঘরোয়া চিকিৎসাতেও হলুদের অবদান অনেক। অনেক ফেসপ্যাক কাঁচা হলুদ দিয়ে তৈরি করা হয়। অনেকের গায়ের রং ফ্যাকাসে সাদা। তারা যদি একটু কাঁচা হলুদ বেটে তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে গায়ে, হাতে এবং পায়ে মেখে প্রতিদিন গোসল করেন, তাহলে দেখবেন ফ্যাকাসে ভাব নেই। সুন্দর সোনা বর্ণের আভা চলে আসছে দেহে। কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সরও মিশিয়ে নিতে পারেন।

    হলুদ লোমনাশক, নিয়মিত মাখলে শরীরের লোম বাড়ে না। এতে ওয়াক্সিং-এর কাজ হয় ভালো। আগেকার দিনে মা-দাদীরা কাঁচা হলুদ বাটার সাথে নিম পাতা বেটে বড়ি বানিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখতেন। তারপর প্রতিদিন বাসি পেটে খেতেন। এতে পেটের দোষ হতো না, লিভার ভালো থাকতো। এতে মুখে লিভার স্পট পড়ে না। অনেক মেয়েলি অসুখেও ফল পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ আখের গুড়ের সাথে খালি পেটে খেলে রক্ত পরিশোধিত হয় বলে স্বাস্থ্য রক্ষা ও রূপচর্চায় হলুদের দান অতুলনীয়।

     

    ৩. ডিম

    সৌন্দর্য চর্চায় ডিম এক অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। ডিম দিয়ে মাথা ধোয়া, ডিমের তৈরি প্যাক বিভিন্নভাবে ত্বকের জন্যে ব্যবহার হয়ে থাকে। ডিমের প্যাকে মুখের লাবণ্য ফিরে আসে। ডিমের কুসুমের প্যাক শুকনো ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। শুকনো ত্বকের জন্যে ডিমের কয়েকটি প্যাক :

    ক. ডিমের হলুদ অংশ + আধা চা চামচ অলিভ অয়েল + কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এ প্যাকটি মুখ ধুয়ে, পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের জন্যে খুবই ভালো ফল হবে।

    খ. ডিমের কুসুম ও তার সাথে অ্যালমন্ড অয়েল অথবা অলিভ অয়েল আধা চা চামচ মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানি, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। সাধারণত সপ্তাহে ২/৩ দিনের বেশি লাগানোর দরকার নেই। এতে আপনার ত্বক সতেজ হয়ে উঠবে।

     

    ৪. গোলাপ জল

    গোলাপ জল চেনে না এমন লোক বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিয়ে বাড়ি বলুন, মিলাদ মাহফিল বলুন, রূপচর্চা বলুন- গোলাপ জলের চাহিদা আছেই। রান্না-বান্নায় গোলাপ জল তো চাই-ই চাই। গোলাপ ফুলের নির্যাস থেকেই এ পানি বানানো হয়। পানি সুগন্ধি করতে গোলাপ জলের দরকার হয়। গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে ঠোঁটে মাখলে ঠোঁট ফাটে না এবং ঠোঁটের রং-ও সুন্দর হয়। গোলাপ জল দিয়ে স্কিন-ফ্রেশনার টনিক আপনি নিজেই বানাতে পারেন। আধা কাপ গোলাপ জল, একটা লেবুর রস, ক-ফোঁটা মধু একত্রে মিশিয়ে নিলে স্কিন-ফ্রেশনার টনিক হয়ে গেল। এ টনিক দিনে দুবার তুলোয় করে মুখে লাগাতে পারেন। যাদের মুখের চামড়া খসখসে তারা রাতে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে সমপরিমাণ গোলাপ জলের সাথে গ্লিসারিন মুখে, হাতে এবং পায়ে মেখে নিতে পারেন। ভোরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এতে মুখের খসখসে ভাব থাকবে না এবং ত্বক কোমল হবে।

     

    ৫. মধু

    মধুর গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। মধু এবং দুধকে বলা হয় বেহেশতের নিয়ামত। মধু ত্বকের জন্যে খুবই উপকারী। বহু ফেসপ্যাক মধু দিয়ে তৈরি হয়। কয়েক ফোঁটা মধু ও কাঁচা দুধ একত্রে মুখে মাখলে মুখের রং উজ্জ্বল, কোমল ও মসৃণ হয়।

    মধু ও বেসন একত্রে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মেখে ১৫/২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুলে মুখের ত্বক খুব সুন্দর ও মসৃণ হয়।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments